কাঁটাবন মার্কেটের মাছ ও পশু-পাখির জীবন রক্ষার উদ্যোগ
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত চলমান বিধি-নিষেধকালে রাজধানীর কাঁটাবন মার্কেটে বিদ্যমান জীবন্ত শোভাবর্ধক মাছ ও পশু-পাখির জীবন রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এ উদ্দেশ্যে কাঁটাবন মার্কেটের মাছ ও পশু-পাখির দোকানগুলো চলমান বিধি-নিষিধের মধ্যে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় অন্তত দুই ঘণ্টা করে খোলা রাখার সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয়টি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশনা প্রদানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১২ জুলাই) কাঁটাবন মার্কেটের অ্যাকুয়া ও পেটস অ্যাসোসিয়েশন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওইদিনই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়।
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, চলমান বিধি-নিষেধে কাঁটাবন মার্কেটের পশু-পাখি ও মাছের দোকানগুলো সংকটে পড়েছে। দোকানগুলোতে জীবন্ত শোভাবর্ধক মাছ ও পশু-পাখিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিয়মিত খাদ্য, পানি ও রোগ প্রতিরোধক টিকা ও ঔষধ সরবরাহ করতে হয়। পাশাপাশি পরিচর্যা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করাও আবশ্যক। চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে এসব কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পশু-পাখি ও মাছ মারা যাচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মাছ ও পশু-পাখির জীবন বাঁচাতে কাঁটাবন মার্কেটের সংশ্লিষ্ট দোকানগুলো দিনের নির্দিষ্ট সময় খোলা রাখার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, কাঁটাবন মার্কেটে পোষা প্রাণি ও শোভাবর্ধক মাছের জীবন রক্ষার্থে আমরা চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও দোকানগুলো প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য খোলা রাখার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে পশু-পাখি ও মাছের খাবার দেওয়া, জীবন রক্ষাকারী টিকা ও ওষুধ দেওয়া, আলো-বাতাস প্রবেশের সুযোগ দেওয়া এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পশু-পাখি বা মাছ মারা যাবে না। এ বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন।
এমএইচএন/এনএফ