শেরেবাংলা নগর থানার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসফিকুর রহমান উজ্জ্বল গ্রেফতার

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসফিকুর রহমান উজ্জ্বলকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪। তাকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় উজ্জ্বলকে চাঁদা না দিয়ে নতুন কোনো ভবনের নির্মাণকাজ কেউ করতে পারত না বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) র‍্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় শাপলা হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে উজ্জ্বলকে আমাদের একটি টিম গ্রেফতার করে। এ সময় তার একটি বিদেশি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উজ্জ্বল জানান, তার বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় হুমকি, চাঁদাবাজি এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের একাধিক মামলা রয়েছে। অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন তালতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ মাদকব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল সে। সাধারণ মানুষের সম্পত্তি দখল, মন্দির ও গণপূর্তের জমি দখল, চাঁদাবাজি, চাঁদার জন্য হুমকি দেওয়া, মাদক ব্যবসা, জুয়ার কারবার প্রভৃতি অপরাধের সাথে সে জড়িত।

আরও জানায়, এলাকায় নতুন কোনো ভবনের কাজ শুরু হলে তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দিতে হতো। অন্যথায় সে তার ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে কাজ বন্ধ করে দিত। সে সরকারি খাস জমি ও অন্যের মালিকানাধীন জমি জোরপূর্বক দখল করে অস্থায়ী স্থাপনা তৈরি করে তা ভাড়া দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভাড়া আদায় করত। তার সহযোগীরা তার প্রত্যক্ষ মদদে আগারগাঁও এলাকার ফুটপাতের প্রত্যেক দোকান হতে দৈনিক চাঁদা তুলে বিপুল পরিমাণ টাকা সংগ্রহ করত।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, উজ্জ্বল মূলত অস্ত্রধারী হওয়ায় এবং এলাকায় তার নিজস্ব মোটরসাইকেল ক্যাডার বাহিনী থাকায় সাধারণ জনগণ তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে সাহস করত না। আর কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করলে অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখাত ও মারপিট করত। তার অত্যাচারে উক্ত এলাকার সাধারণ মানুষ সর্বদা অতিষ্ঠ ও ভীত সন্ত্রস্ত।

উজ্জ্বল বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান জিয়াউর রহমান চৌধুরী।

এমএসি/এইচকে