আর মাত্র ছয় দিন পরে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রধান দ্বিতীয় উৎসব ঈদুল আজহা। ওই উৎসবের প্রস্তুতি উপলক্ষে এরই মধ্যে কেনা শুরু হয়েছে কোরবানির পশু। মুসলিম পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন হাট ঘুরে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পশুটি কিনছেন কোরবানির উদ্দেশ্যে। শুধু পশু কিনেই ক্ষ্যান্ত হচ্ছেন না মানুষ। কোরবানির পশুকে মনের মতো করে সাজাতেও তৎপর তারা। হাটগুলোতেও অস্থায়ীভাবে বসেছে পশুর মালা-রশির দোকান। ভিড় আছে সেখানেও।

বুধবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর গাবতলী কোরবানির পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, মালা-রশির দোকানের অবস্থান হাটের প্রধান ফটকের পাশেই। দোকানের অবস্থান এমন জায়গায়, কেউ হাট থেকে কোরবানির পশু কিনে নিয়ে বের হতে গেলেই চোখে পড়বে। দোকানে শোভা পাচ্ছে লাল, হলুদ, কমলা ও সবুজসহ নানা রঙের নানা ডিজাইনের মালা। সঙ্গে আছে পাট ও লাইলন সুতার বিভিন্ন সাইজের দড়িও। দামও খুব বেশি নয়, নাগালের মধ্যেই। দোকানের কাছে যেতেই শোনা যায়, ‘কোনটা লাগবে ভাই’।

উত্তরা থেকে বাবার সঙ্গে গাবতলী হাটে এসেছেন তানজিলা। মালা ও রশি কিনতে দেখে দোকানের সামনে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা সব সময় উত্তরা থেকেই গরু কিনি। কিন্তু এবার এখানে এসেছি। এক লাখ ২০ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছি কোরবানির জন্য। এখান থেকে গরুর সাজসজ্জার জন্য একটি রশি ও একটি মালা কিনেছি। সব মিলিয়ে ৩০০ টাকা খরচ হলো।’

দোকানি আবদুর রহমান জানান, ঘণ্টি ওয়ালা মালা, নরমাল মালাসহ ১০ রকমের মালা আছে দোকানে। গরু কেনার পর এখান থেকে সাজিয়ে বাসায় নিয়ে যান অনেকে। তার দোকানে ৪০ থেকে ২৫০ টাকা দামের মালা আছে। দড়িও আছে ২০০ টাকা পর্যন্ত দামের। এটি শুধু কোরবানির সময় বিক্রি হয়।

এমএইচএন/এসএসএইচ