গাইবান্ধায় চিকিৎসকের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি
চিকিৎসা অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ এনে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে দুই চিকিৎসক, এক নার্সসহ অন্যান্য স্টাফদের ওপর হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।
সোমবার (১৯ জুলাই) বিএমএর দফতর সম্পাদক ডা. মোহা. শেখ শহীদ উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসা রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজন পরিচয়ধারী একদল দুষ্কৃতকারীর হাতে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ভাঙচুর ও বিভাগে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. সুজন পাল, ডা. নুরে জান্নাত ও কর্তব্যরত নার্সসহ অন্যান্য স্টাফদের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটে। বিএমএ নেতারা অবিলম্বে দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে।
বিএমএ জানায়, গত ১৮ জুলাই আনুমানিক সকাল ১০টায় জাহেদা বেগম (৫৫ বছর) নামে এক রোগী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তির জন্য পরামর্শ দেন। কিন্তু রোগীর স্বজনেরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে বাইরে নিয়ে গিয়ে ফের বিকেল (আনুমানিক) ৪টায় জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুজন পাল রোগীর রিপোর্ট দেখে তৎক্ষণিক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু রোগীর স্বজনেরা চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না করে আবার বাইরে নিয়ে কালক্ষেপণ করেন। এরপর বিকেল ৫টায় রোগীর স্বজনেরা ফের রোগীকে নিয়ে জরুরি বিভাগে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে দেখে জানান আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর কিছুক্ষণ পর বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে রোগীর স্বজন পরিচয়ধারী একদল দুষ্কৃতকারী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালায় এবং কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. সুজন পাল ও ডা. নুরে জান্নাত, নার্সসহ অন্যান্য স্টাফদের ওপর হামলা চালায়।
স্বজনদের দাবি, রিপোর্ট নিয়ে চিকিৎসকের কাছে এলে তিনি রক্ত স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে রক্ত সংগ্রহের কথা বলেন। তারা রক্ত ক্রসম্যাচ করে এনে জানতে পারেন জাহেদা মারা গেছেন। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি না করায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
টিআই/জেডএস