চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডবলমুরিং থানার তালিকাভুক্ত ১ নং আসামি গোলজার আলম প্রকাশ ওরফে পিস্তল গোলজারকে (৩৯) অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (১৯ জুলাই) দিনগত রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার দাইয়াপাড়া থেকে গোলজারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, হত্যাপ্রচেষ্টা, বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে। গোলজার ডবলমুরিং থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক।

গ্রেফতার গোলজার ডবলমুরিং থানার দাইয়াপাড়ার আছিয়া বাপের বাড়ির মো. মুছার ছেলে।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গোলজার চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং ডবলমুরিং থানার তালিকাভুক্ত ১ নং আসামি। সে ডবলমুরিং এলাকার ত্রাস। চুরি থেকে শুরু করে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদকসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা সে করে না। সে ভিক্ষুকের কাছ থেকেও ২০ টাকা চাঁদা নেয়। আবার ২০০ টাকা দিলেই যে কাউকে গিয়ে মেরে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় দাইয়াপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি পাইপ গান, এক রাউন্ড গুলি ও ১০৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। 

হাতে হাতুড়ি, পকেটে পিস্তল
গোলজার সবসময়ই পকেটে পিস্তল ও হাতে হাতুড়ি রাখে। যখন তখন যাকে তাকে গুলি করে সে। ২০১৮ সালে ডিশ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে টিপু ও সগীর নামে দুই জনকে গুলি করে গোলজার। ২০১৩ সালে পুলিশকে লক্ষ্য করেও গুলি করে সে। আর কেউ তার কথার অবাধ্য হলে তাকে হাতুড়িপেটা করে। সর্বশেষ গত ১১ জুলাই দাইয়াপাড়ায় রাশেদ নামে একজনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এর এক সপ্তাহ আগে আরও একজনকে একই কায়দায় পিটিয়ে আহত করে। 

ভিক্ষুকের কাছ থেকেও চাঁদা নেয়
গোলজারের আয়ের কোনো উৎস নেই। চাঁদাবাজি তার আয়ের প্রধান উৎস। এলাকায় দোকান থেকে শুরু করে ভিক্ষুক থেকে পর্যন্ত চাঁদা নেয় সে। ভিক্ষুকের কাছ থেকে ২০ টাকা চাঁদা নেয় সে। চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছে সে।

২০০ টাকা পেলেই যে কাউকে মারে গোলজার
ভাড়ায় অপরাধ করে গোলজার। মাত্র ২০০ টাকা দিলেই সে যে কাউকে গিয়েই মেরে আসে। বিশেষত তার এলাকাতেই এ ঘটনা ঘটায় বেশি। এলাকায় ব্যক্তি পর্যায়ে কারও সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হলেই তাকে ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সে তার স্টাইলে হাতুড়ি দিয়ে পেটায়।

চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা
বর্তমানে গোলজার ডবলমুরিং থানার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। মূলত টেকনাফ থেকে আনা ইয়াবা সে খুচরা বিক্রি করে। এজন্য তার ৩ জনের একটি বিক্রয় প্রতিনিধি দলও আছে। কমিশনের ভিত্তিতে তারা গোলজারের ইয়াবা বিক্রি করে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে ২টি মামলা রয়েছে।

কেএম/জেডএস