চট্টগ্রামের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে নাহিদা আক্তার নামে এক চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাতে শিশুটিকে মোহরা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় চিকিৎসককে আটক করা হয়। 

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। 

তিনি বলেন, আনুমানিক ১৫ বছর বয়সী মেয়েটির চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। চোখের নিচে, গলা ও হাতসহ বিভিন্নস্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। শিশুটিকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হতো বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।

জানা গেছে, গত বছরের জুলাই থেকে চান্দগাঁও আবাসিকের বি ব্লকের ১০ নম্বর রোডের ৩৯৪ নম্বর বাসায় গৃহকর্ত্রী ডা. নাহিদা আক্তারের (৩৪) বাসায় এ কাজ করত তাসলিমা। বাসার সব কাজ করলেও গত তিন মাস ধরে কথায় কথায় গায়ে হাত উঠাতে থাকে গৃহকর্ত্রী। গত ১৮ জুলাই গৃহকর্ত্রী তার ওপর নির্মম নির্যাতন করেন। কিল-ঘুষি-থাপ্পড় মারার পর তাকে রুমে বন্দী করে রাখেন। পরের দিন একটা সেলুনে নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাসলিমার চুল কাটানো হয়।  কারো সঙ্গে ঈদেও যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার তাসলিমার পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে অভিযোগ করলে মোহরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাহিদাকে আটক করা হয়। 

পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাতে চান্দগাঁও থানা পুলিশ নির্যাতিত তাসলিমাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে গৃহকর্মী তাসলিমার বাবা আব্দুল গণি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।  

আটক হওয়া ডা. নাহিদা আকতারের বাসা চান্দগাঁও আবাসিক হলেও মোহরার ওয়াসা বালুরটাল এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ি। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিএস ও এফসিএস করেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু তিনি কোথাও চাকরি করতেন না বলে জানা গেছে। 

কেএম/ওএফ