গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীরের চলে যাওয়া এক কিংবদন্তির প্রস্থান বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই দেশবরেণ্য শিল্পীর অন্তিম শয়ানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা বলেন। 

ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে ড. হাছান এসময় বলেন, ফকির আলমগীর শুধু গণসঙ্গীতশিল্পীই ছিলেন না, তিনি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। এদেশের গণসঙ্গীতকে সমৃদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির জন্য লড়াই এবং আশির দশক ও নব্বইয়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফকির আলমগীরের মতো শিল্পী একদিনে তৈরি হয় না। বহু বছরের সাধনায় তিনি হয়ে উঠেছেন কিংবদন্তি। দক্ষ সংগঠক হিসেবে গণসঙ্গীতকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া এবং জনপ্রিয় করে তোলায় তার ভূমিকা অনন্য। 

বহু কালজয়ী গানের স্রষ্টা ফকির আলমগীরের চলে যাওয়া আমাদের গণসঙ্গীত, সংস্কৃতি অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি; আমরা মহান স্রষ্টার কাছে তার আত্মার চিরশান্তির জন্য প্রার্থনা করি, বলেন ড. হাছান মাহমুদ।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রখ্যাত গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

পিএসডি/জেডএস