দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে ১৮তম ইমপোর্ট গুড ফেয়ারে (আইজিএফ) অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। কোরিয়া ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশন (কেওআইএমএ) কর্তৃক আয়োজিত তিন দিনব্যাপী (২২-২৪ জুলাই) এ মেলা দেশটির রাজধানী সিউলের কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে (সিওইএক্স) অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (২৪ জুলাই) সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দূতাবাস জানায়, আইজিএফ মেলায় এ বছর ৪০টি দেশের দূতাবাস এবং বিভিন্ন দেশের ২২টি  প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। কেওআইএমএমের চেয়ারম্যান হং কোয়াং-হি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য, শিল্প ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক উয়ং-টেই চই গত ২২ জুলাই তিন দিনব্যাপী মেলাটির উদ্বোধন করেন।

মেলার উদ্বোধনের পরে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম কেওআইএমএমের চেয়ারম্যান, দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য, শিল্প ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এবং অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের স্টল পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান এবং তাদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প পণ্য উপহার প্রদান করেন।

মেলায় রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সৌজন্যে প্রাপ্ত বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্যসমূহ, যেমন : তৈরি পোশাক, পাট ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক পণ্য, হস্তশিল্প যেমন : পিতলের পণ্য, ঐতিহ্যবাহী পুতুল ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও সম্ভাবনাময় আমদানিকারকরা বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্য এবং সিরামিক পণ্য সম্পর্কে গভীর আগ্রহ দেখান। এছাড়া ফার্গোর অর্গানিক খাদ্য সামগ্রী, যেমন : মিশ্রিত বাদাম, মধু, মরিঙ্গা চা ও ঘি দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকায় এ বছর মেলায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কম ছিল।

দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্যসমূহ সম্পর্কে কোরিয়ান ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের আগ্রহ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছে যা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

এনআই/এসকেডি