আজ ২৯ জুলাই, আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস। বিলুপ্তির দিকে ধাবিত হওয়া বাঘ বাঁচাতে ও সংরক্ষণ করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করছে। বাংলাদেশ, ভারত, বার্মা, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, ভুটান, নেপাল ও রাশিয়া এই ১৩টি দেশে এখন বাঘের অস্তিত্ব আছে। বাঘ বাঁচাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বাঘ সমৃদ্ধ দেশগুলোর সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত বাঘ সমৃদ্ধ বর্ণিত ১৩টি দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে বাঘ সংরক্ষণ কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য প্রতিবছর ২৯ জুলাই আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস পালন করা হয়।

দেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল বাংলাদেশের সুন্দরবন অংশে। সেখানে দিন দিনই কমছে বাঘের সংখ্যা। ২০১৫ সালের বাঘ শুমারির প্রতিবেদন অনুসারে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে মাত্র ১০৬টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছিল। পরবর্তীতে ২০১৭-২০১৮ বাঘ শুমারিতে দেখা গেছে, সেখানে ১১৪টি বাঘ রয়েছে। বন বিভাগের তথ্য মতে, ২০০১-২০ সালের মধ্যে ৪৮টি বাঘ মারা গেছে। এর মধ্যে ২২টি সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগে এবং ১৬টি পশ্চিম বিভাগে মারা যায়।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বন অধিদফতর একটি অনলাইন ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩টায় আয়োজিত ওই ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, বিশেষ অতিথি হিসেবে সচিব মো. মোস্তফা কামালের যোগদান করার কথা আছে। ওয়েবিনারে সভাপতি হিসেবে থাকবেন প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।

অন্যদিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস-২০২১ উপলক্ষে বিকেল ৫টায় ‘বাঘ দিবসে বাঘের গল্প’ শীর্ষক এক বিশেষ ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে। ওয়েবিনারে সভাপতি হিসেবে বাপা’র সভাপতি সুলতানা কামালের সভাপতিত্ব করার কথা আছে। এছাড়া সেখানে যুক্ত থাকার কথা আছে বাপা’র বন, জীববৈচিত্র, প্রাকৃতিক সম্পদ ও জ্বালানি বিষয়ক কমিটির সহ-আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুল হাসান খান, অধ্যাপক ড. এম এ আজিজ, যমুনা টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোহসীন-উল হাকিম, স্থানীয় বনজীবী বেলায়েত সরদার, সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির।

এমএইচএন/এসএসএইচ