সরকার কখনও বাঘ রক্ষায় গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি সুলতানা কামাল। তিনি বলেছেন, সুন্দরবনে বাঘের বসবাসের অনুকূল পরিবেশ নেই। সুন্দরবন বাঁচলে বাঘ বাঁচবে। বাঘ আমাদের সাহস, শক্তি ও সংস্কৃতির পরিচয়। এটিকে সংরক্ষণ করাও আমাদের দায়িত্ব।

আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বাপা আয়োজিত ‘বাঘ দিবসে বাঘের গল্প’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

সুলতানা কামাল আরও বলেন, জাতিসংঘ সরকারদের একটি ক্লাবে পরিণত হয়েছে। সেখানে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার কোনো মূল্যায়ন হয় না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ ‘আমরা গাছ লাগাইয়া সুন্দরবন পয়দা করি নাই’-এর কথা উল্লেখ করে সুলতানা কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যে সুন্দরবনকে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রকৃতি তৈরি করে দিয়েছে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য। আমি সুন্দরবনকে বাঘের বসবাস উপযোগী করার দাবি জানাচ্ছি।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, সুন্দরবন এবং এর ভেতর বসবাসকারী জীববৈচিত্র্যের ওপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। সুন্দরবনকে সুন্দরবনের মতো থাকতে দিন। বাঘের আবাসস্থল ও খাদ্য সরবারহ নিশ্চিত করতে হবে। বাঘ আমাদের জাতীয় পরিচয়। বাঘ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। সাধারণত বাঘ মানুষকে দেখে দূরে চলে যায়। দুষ্কৃতকারীরা মাংসে বিষ মিশিয়ে বাঘ হত্যা করে। এটা সরকার বন্ধ করতে পারছে না। সুন্দরবনের বাঘের প্রধান খাদ্য হচ্ছে চিত্রা হরিণ। বনের চিত্রা হরিণও কমে যাচ্ছে বিভিন্ন কারণে। এ কারণে বাঘের খাদ্যের অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে।

তারা আরও বলেন, সুন্দরবনে দিন দিন বাঘের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সেখানে বাঘের খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। সুন্দরবনকে ঘিরে যে অপরিকল্পিত ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়ন চলছে সেই জন্য বন বাঘ বসবসাসের অনুপযোগী স্থান হিসেবে পরিণত হয়েছে।

এমএইচএন/এনএফ