খুরশেদ আলম

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান পদে রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়েছে সরকার। 

সচিব পদমর্যাদায় তার নিয়োগের মেয়াদ বাড়িয়ে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।  আগামী ২০ জানুয়ারি বা যোগদানের তারিখ থেকে তার এই মেয়াদ বৃদ্ধির আদেশ কার্যকর হবে।

খুরশেদ আলমের জন্ম ১৯৫৩ সালে। প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনারত অবস্থায় বাংলাদেশ নেভিতে তিনি যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে কমিশন্ডপ্রাপ্ত হন। তিনি যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ওশেনোগ্রাফিক সেন্টার থেকে ওশেনোগ্রাফির ওপর প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। 

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ন্যাভাল স্টাফ কলেজ থেকে সমুদ্র আইন বিষয়ক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং তার মেধার জন্য ‘কমেন্ডশেন লেটার’ পান। এছাড়া ১৯৭৪ সালে ভারতের ন্যাভাল একাডেমি থেকে ইন্ডিয়ান প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল পান তিনি। 

নৌবাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় ১৯৯১ সালে খোরশেদ আলম মালয়েশিয়াতে ডিফেন্স অ্যাডভাইজার হিসেবে নিয়োগ পান। এছাড়া তিনি মোংলা পোর্টের চেয়ারম্যান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, জনতা ও চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।

খুরশেদ আলম ২০০৯ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। ২০১৮ সালের ১১ জানুয়ারি মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান হিসেবে চুক্তিতে নিয়োগ পান তিনি।
 
মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব হিসেবে আঞ্চলিক সামুদ্রিক সংগঠন ইন্ডিয়ান ওশেন রিম অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশ ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুবিধা বৃদ্ধি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মৎস্য সম্পদ আহরণ, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়, ব্লু অর্থনীতি, নারী ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইন্ডিয়ান ওশেন রিম অ্যাসোসিয়েশন কাজ করে থাকে।

খুরশেদ আলম মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমানা বিরোধ নিষ্পত্তিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি উভয় মামলায় বাংলাদেশের ডেপুটি এজেন্ট হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন। 

এসএইচআর/এইচকে