সদরঘাটে আসেনি দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চ, বাস কম বাবুবাজারে
তৈরি পোশাক কারখানাসহ রফতানিমুখী কারখানার কর্মীদের ঢাকায় ফিরতে বিড়ম্বনা কমাতে আজ (রোববার) দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাস ও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি ছিল। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দূরপাল্লার বাসে রাজধানীতে প্রবেশ করেছেন অনেকে। তবে রাজধানীমুখী বাসের সংখ্যা কম দেখা গেছে। এদিকে, দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সদরঘাটে কোনো লঞ্চ আসেনি।
রোববার (১ আগস্ট) সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, নয়াবাজার, তাঁতিবাজার ও বাবুবাজার ব্রিজের আশপাশের এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাতের ঘোষণা দেওয়া ও লঞ্চে যাত্রীর কম হওয়ায় বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা অঞ্চল থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে আসেনি। তবে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। কিন্তু মাত্র আধাবেলা চলাচলের অনুমতি থাকায় মহাসড়ক ও রাজধানীতে বাস কম চলছে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ১১টা পর্যন্ত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে কোনো লঞ্চ আসেনি। তবে শুধুমাত্র চাঁদপুর থেকে দুটি লঞ্চ এসেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও ট্রাফিক) মো. জয়নাল আবেদীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সদরঘাটে সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চাঁদপুর থেকে শুধুমাত্র দুটি লঞ্চ এসেছে। তবে বরিশাল পটুয়াখালী ও ভোলা দক্ষিণ অঞ্চল থেকে কোনো লঞ্চ আসেনি। সদরঘাট থেকে চাঁদপুর ও সুরেশ্বর অঞ্চলে ছেড়ে গেছে ৬টি লঞ্চ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে বাবুবাজার দিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করছে দূরপাল্লার বাস। এছাড়া সীমিত পরিসরে রাজধানীতে চলছে গণপরিবহন।
রাজধানীতে আকাশ পরিবহনের বাসচালক সালেহ আহমদ বলেন, রাস্তায় যাত্রী কম। আবার বাস চলবে দিনের আধাবেলা। সেজন্য গণপরিবহনও কম। রাস্তায় এত অল্প সময়ের জন্য বাস বের করে কী হবে? বাস যে চলছে সেটাই অনেকে জানে না। তারপরও আমরা বের হয়েছি। হাতে টাকা-পয়সা নাই। পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।
গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরা মোর্শেদ আলমের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, রাত সাড়ে দশটায় শুনেছি রোববার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাস চলবে। সুযোগটা কাজে লাগালাম। ভোর সাড়ে ৫টায় বাড়ি থেকে বের হয়েছি। ঢাকায় এলাম সাড়ে ১১টায়। এত অল্প সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হলেও উপকার হয়েছে। আরও দু-একদিন বাস চললে অনেক মানুষের উপকার হতো।
টিএইচ/এইচকে