যাতায়াতের জন্য পরিবহনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না করে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দিয়ে শ্রমিকদের হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম।

রোববার (১ আগস্ট) সংগঠনের আহ্বায়ক ড. হামিদা হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়,

শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম মনে করছে এ মুহূর্তে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে থাকার একমাত্র উপায় ঘরে থাকা। এ কারণে শ্রমজীবীদেরও ঘরে থাকা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত। কারখানা খোলার খবরে গত বছরের মতো এবারও কয়েক লাখ শ্রমিক হেঁটে, রিকশা, ভ্যান, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ নানা যানবাহনে চরম দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। জীবনের নিরাপত্তা ছাড়া এভাবে শ্রমিকদের আসা-যাওয়া করতে বাধ্য করার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম।

শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম মনে করে, করোনা পরিস্থিতি এ সত্যকে নতুন করে সামনে এনেছে যে, শ্রমিকরাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের উৎপাদন, রফতানি তথা অর্থনীতির চাকা চালু রাখছে। অথচ বিভিন্ন সময়ে সেই শ্রমিকদেরই নানারকম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মানসম্মত পরিবহন ছাড়া শ্রমিকদের বিপদে ফেলে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ানো হলে তার দায়ভার মালিক এবং সরকারকেই নিতে হবে। এ অবস্থায় ৯টি দাবি উপস্থাপন করেছে শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম।

দাবিগুলো হলো :

১. লকডাউনে শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধে পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা;

২. করোনাভাইরাসের ঝুঁকি/প্রকোপ বিবেচনায় আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত কোনো শ্রমিককে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে বাধ্য না করা, প্রয়োজনে অবস্থার গুরুত্ব বিবেচনায় মজুরিসহ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা;

৩. শুধু অনুপস্থিতির কারণে শ্রমিকের মজুরি কর্তন এবং চাকরিচ্যুত না করা;

৪. লকডাউনের সুযোগে কারখানা লে-অফ ঘোষণা না করা:

৫. কারখানা খোলা রাখার সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা তা মনিটরিং করা;

৬. স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক সচেতনতা ও নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি (মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার) সরবরাহ করা;

৭. আক্রান্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা এবং কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা;

৮. কারখানার নিজস্ব পরিবহনে শ্রমিকদের বাসা থেকে কর্মস্থলে আনা নেওয়ার ব্যবস্থা করা;

৯. শ্রমজীবী মানুষের জীবনের নিরাপত্তায় জরুরি ভিত্তিতে তাদের ভ্যাকসিন প্রদানের ব্যবস্থা করা।

 এসকেডি