যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর প্রস্তুতি
আগামী ১১ আগস্ট (বুধবার) থেকে সীমিত আকারে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এক্ষেত্রে ৮ আগস্ট (রোববার) থেকে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরুর বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে নির্দেশনা জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দুদিন আগে রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন শাখার সংশ্লিষ্টদেরকে আগামী ১১ আগস্ট থেকে গণপরিবহন চলাচল শুরু হলে একইদিন থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরুর জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, সীমিত পরিসরে আন্তঃনগর, লোকালসহ যাত্রীবাহী বিভিন্ন ধরনের ট্রেন পরিচালনা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) শাহাদাত আলী সরদার বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সকালে ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারি নির্দেশনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তবে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা শুরু হলে ভাড়া বাড়ানো হবে না। প্রতিটি ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। নন-কম্পিউটারাইজড স্টেশনের টিকিট সংশ্লিষ্ট স্টেশন কাউন্টার থেকে কিনতে হবে। অগ্রীম টিকিট যাত্রার ৫ (পাঁচ) দিন আগে কিনতে পারবেন যাত্রীরা।
বিজ্ঞাপন
রেলওয়ে সূত্র জানায়, অনলাইনে ক্রয় করা টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না। কমিউটার ট্রেনের টিকিট যথারীতি নির্দিষ্ট বক্স কাউন্টার থেকে দেওয়া হবে। আসনবিহীন টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে। ট্রেনে ভ্রমণেচ্ছুক যাত্রীদের নিজ নিজ টিকিট নিশ্চিত করেই কেবল ভ্রমণের জন্য অনুরোধ করা হবে।
টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ভ্রমণ করতে পারবেন না। ট্রেনে প্রতিনিয়ত বিশেষ চেকিং অভিযান চলবে, তাই বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণ করা থেকে যাত্রীকে বিরত থাকতে হবে। ভ্রমণের সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে না।
পিএসডি/জেডএস