৪শ টাকায় গাবতলী থেকে যাত্রী নিয়ে গেল সরকারি গাড়ি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন। কিন্তু নানা কারণে প্রতিদিনই রাজধানী ছাড়ছেন অনেকে। ফিরছেনও কেউ কেউ। তারা প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, ট্রাক-পিকআপসহ সরকারি গাড়িও ব্যবহার করছেন গন্তব্যে যেতে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গণপরিবহন না চলায় সুযোগ নিচ্ছেন প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল চালকরা। প্রতিদিনের মতো গাবতলী ও আমিনবাজারের আশপাশের এলাকা থেকে প্রাইভেটকারে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, ডিএনসিসি’র লোগো সম্বলিত ঢাকা মেট্রো ঠ- ১১-০৩৩৮ নম্বর প্লেট লাগানো একটি পিকআপ ভ্যানের চালকের সঙ্গে যাত্রীরা ভাড়া নিয়ে দর কষাকষি করছেন। তবে এ প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে চালক গাড়ি সামনের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। তখন গাড়িটিতে কয়েকজন যাত্রী ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির ওই পিকআপ চালক ঢাকা পোস্টকে বলেন, গাড়ি নিয়ে আমি পাটুরিয়া ঘাটে অফিসের কাজে যাচ্ছি। যাওয়ার পথে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছি। যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি চারশ টাকা করে নিচ্ছি। এছাড়া অন্য কোনো কিছু না।
পিকআপ ভ্যানের এক যাত্রী বলেন, পারিবারিক কাজে বাড়িতে যাচ্ছি। গাড়ি তো নেই। যা আছে, সেগুলোর ভাড়া অনেক বেশি। এজন্যই কম ভাড়ায় পিকআপ ভ্যানে যাচ্ছি। এটাতে অন্য গাড়ির চেয়ে ভাড়া অনেক কম। আবার সরকারি গাড়ি। এজন্য রাস্তায়ও সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে আমার মনে হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সব ধরনের অফিস বন্ধ রেখে গত ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করে সরকার। এরপর কোরবানির ঈদের সময় গত ১৫ জুলাই থেকে আট দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করে দেওয়া হয়। পরে আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। সেই বিধিনিষেধ এখনও চলছে। তবে এর মধ্যেই গত ১ আগস্ট থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে রফতানিমুখী শিল্প ও কলকারখানা।
এসআর/এসএসএইচ