‘সর্দি জ্বর ৯৯, মাথাসহ সারা শরীর ব্যথা। ঘুমের ওষুধ খেয়ে এক ঘণ্টা ঘুমিয়েছি। নাপা নিয়েছি। এপ্রিলে দ্বিতীয় টিকা নিয়েছি। আমি কী লাইনে আছি?’ করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গত ২৬ জুলাই নিজের ফেসবুকে ওয়ালে এ কথা লিখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক গাজী সালেহ উদ্দীন। ১৩ দিন করোনার সঙ্গে লড়াই করে আশঙ্কার ‘সেই লাইনে’ পাড়ি দিলেন তিনি।

শুক্রবার (৭ আগস্ট) রাতে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অধ্যাপক গাজী সালেহ উদ্দীন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। এক ফেসবুক পোস্টে মৃত্যুর খবর জানান ছেলে সালেহীন তানভীর গাজী। বাবার ফেসবুকে তিনি লিখেন- ‘স্রোতের বিপরীতে চলতে পারা দুর্দান্ত মনোবলের এক সাহসী বীরের প্রস্থান’।

জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই গাজী সালেহ উদ্দীনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার বেসরকারি সিকদার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ায় ৩১ জুলাই থেকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়। গত ২১ জুলাই থেকে তিনি করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। পরে করোনার নমুনা পরীক্ষায় তিনি পজিটিভ শনাক্ত হন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক প্রক্টর গাজী সালেহ উদ্দীন সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের মহাসচিব ও চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন রাঙামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক।

কেএম/এসএসএইচ