চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আগামী ১০ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। ১১ তারিখ থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত খুললেও জনবল সংখ্যা কমানোর নির্দেশনা থাকবে। এছাড়া পর্যটনকেন্দ্রগুলো না খোলার ইঙ্গিত দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

রোববার (৯ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

১১ তারিখ থেকে অফিস-আদালত কী ৮০ ভাগ উপস্থিতি দিয়ে খুলবে- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‌‘যত কম করা যায়, সেরকমই থাকবে।’

পর্যটনকেন্দ্র খোলা থাকবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পর্যটনকেন্দ্রগুলো মনে হয় এ মুহুর্তে না, ওই যে ধাপে-ধাপে না... এটা আরও পরে।’ 

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালের শুরুতে তিনি বলেন, ‘১১ তারিখ থেকে যেটি চিন্তাভাবনা চলছে যে, এটি ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে শিথিল করা। আমাদের করোনা শনাক্তের হার একটু কমছে, কিন্তু মৃত্যুর হার ২০০ এর ওপরে আছে। সে বিষয়ে কিন্তু অবশ্যই আমাদের নজর রাখতে হচ্ছে।’

‘আগামী দিনে বিধিনিষেধ আমরা কী পর্যায়ে শিথিল করতে পারব, সে বিষয় নিয়ে আমরা হয়তো আজকে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সিদ্ধান্ত পাব। সেটা হয়তো আজকে অথবা কালকে সকাল নাগাদ জানাতে পারব’, বলেন ফরহাদ হোসেন।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়ার পর প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে। কতটুকু শিথিল করবে, সেই নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নিয়ে দেব।’

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। ১১ আগস্ট থেকে খুলবে দোকানপাট, শপিংমল; চলবে গণপরিবহন, খুলবে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস।

৩ আগস্ট ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মন্ত্রী বলেন, ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে। ওইদিন থেকে সড়কে পুনরায় গণপরিবহন চলাচল করবে। ১০ তারিখ পর্যন্ত বিধিনিষেধের সময়ের মতো চলবে, ১১ তারিখ থেকে খুলবে অফিস।