আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর গুণাবলীর শতভাগই আমরা বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেছা মুজিবের মধ্যে দেখতে পাই। তার কাছে সাহায্য চেয়ে কেউ কখনও খালি হাতে ফিরে যেতেন না।

রোববার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

জাহাঙ্গীর কবির নানক আরও বলেন, মানুষের ভালোবাসার কাঙাল ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসতেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর কর্মীবান্ধব সকল গুণাবলী আমরা বেগম মুজিবের কাছে দেখতে পাই।

আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামে বেগম মুজিবও বহু ত্যাগ করেছেন। দলীয় কর্মীদের সুখ-দুঃখের সাথে ছিলেন তিনি। হোক সেই রাজনৈতিক কর্মী কিংবা সাধারণ মানুষ। ছাত্ররাজনীতির সময়ও বেগম মুজিব তার পৈতৃক সম্পত্তির অর্জিত অর্থ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সাহায্য করেছিলেন। রাজনৈতিক কাজে টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করা এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি তার গহনা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। 

তিনি বলেন, ১৯৪৬ সালের দাঙ্গার সময় বঙ্গমাতা নিজেই অসুস্থ থাকা অবস্থায়ও বঙ্গবন্ধুকে দাঙ্গা উপদ্রুত এলাকায় যেতে নিষেধ করেননি। সেসময় তিনি বঙ্গবন্ধুকে চিঠিতে লিখেছিলেন- ‘আপনি শুধু আমার স্বামী হওয়ার জন্য জন্ম নেননি, দেশের কাজ করার জন্য জন্ম নিয়েছেন। দেশের কাজই আপনার সবচেয়ে বড় কাজ। আপনি নিশ্চিন্তভাবে সেই কাজে যান। আমার জন্য চিন্তা করবেন না। আল্লাহর ওপর আমার ভার ছেড়ে দিন।’ 

বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামে সঙ্গী ফজিলাতুননেছা মুজিবের স্মৃতিচারণ করে নানক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের প্রেরণাদাত্রী ছিলেন বঙ্গমাতা। তিনি বঙ্গবন্ধুকে বিবেকের ওপর ভর করে বক্তৃতা করার জন্য আশ্বাস দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পাশে বঙ্গমাতার মতো নারী থাকার কারণেই হয়তো ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নামক মহাকাব্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটির আহ্বায়ক এ কে এম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ও আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। 

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ মান্নাফী, হুমায়ুন কবির। 

এইউএ/এনএফ