‘বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টিতে জ্বালানি খাতের উন্নয়ন হয়েছে’
‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বৈপ্লবিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে বর্তমান জ্বালানি খাতের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান।
সোমবার (৯ আগস্ট) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উদ্যোগে ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ওয়াসিকা আয়েশা খান বলেন, জ্বালানি খাতকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে পেট্রোলিয়াম আইন ও পেট্রোলিয়াম পলিসি প্রণয়নের মাধ্যমে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনের লক্ষ্যে ‘উৎপাদন বণ্টন চুক্তি’ পদ্ধতি বাংলাদেশে প্রবর্তন ছিল বঙ্গবন্ধুর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়ন এবং নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য দূরীকরণে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতায়নের বিষয়টিকে সংবিধানে সংযোজন ছিল তার অবিস্মরণীয় একটি উদ্যোগ। ৭৫-এর পর মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী শক্তি ক্ষমতাসীন হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা অবহেলার শিকার হয়।
বিজ্ঞাপন
সংসদীয় কমিটির এই সভাপতি বলেন, ১৯৯৬-২০০১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও, পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় লুটপাটের কারণে জ্বালানি খাত হুমকির সম্মুখীন হয়। ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশ আবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জ্বালানির বহুমুখীকরণের নীতি গ্রহণ করেছে, যার আওতায় দেশের জ্বালানি মিশ্রণে দেশীয় গ্যাস সম্পদের পাশাপাশি কয়লা, আমদানিকৃত এলএনজি, পারমাণবিক বিদ্যুৎ, তরল জ্বালানি, আন্তঃরাষ্ট্রীয় জ্বালানি বাণিজ্যের মাধ্যমে আহরিত জ্বালানি/বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে একটি টেকসই ‘জ্বালানি ঝুড়ি’ গড়ে তোলা হচ্ছে।
ওয়াসিকা আয়েশা খান বলেন, সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার সরকার নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় স্বার্থে বৃহৎ জ্বালানিভিত্তিক প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে জ্বালানি খাতের যথাযথ উন্নয়ন সাধন করে চলেছে। এক্ষেত্রে, আমাদের দেশের মেধাবীদের কাজে লাগাতে হবে। মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিরলস প্রচেষ্টায় ‘মুজিববর্ষে জ্বালানি খাত, সমৃদ্ধিতে এগিয়ে যাক’-স্লোগানের বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এইউএ/এইচকে