রোহিঙ্গাদের টিকা কর্মসূচিতে সহায়তায় রেড ক্রিসেন্ট কর্মীরা
দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) থেকে। রোহিঙ্গাদের টিকাদান কর্মসূচিতে কক্সবাজারের ৩৪টি ক্যাম্পে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের প্রায় শতাধিক প্রশিক্ষিত কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক ইউএনএইচসিআর ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কাজ করবে।
সোমবার (৯ আগস্ট) রেড ক্রিসেন্টর ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সংস্থাটি জানায়, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়া শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে এ টিকা দেওয়া হবে। এ টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে কক্সবাজারের ৩৪টি ক্যাম্পে রেড ক্রিসেন্টের প্রায় শতাধিক প্রশিক্ষিত কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক ইউএনএইচসিআর ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কাজ করবে।
সোসাইটির হেড অব অপারেশন এম এ হালিম বলেন, করোনার সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে অন্যান্য জায়গার মতো কক্সবাজারের সকল নাগরিকদেরকে টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনার বিকল্প নেই। এতে বহুমানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে। রেড ক্রিসেন্টের লক্ষাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকরা সরকারের টিকাদান কর্মসূচিকে সফল করতে দেশব্যাপী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার ও ক্যাম্পগুলোতেও আমাদের সহকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা টিকা কার্যক্রমে সহায়তা করছে। পাশাপাশি ক্যাম্পের মানুষকে টিকা নিতে আগ্রহী করে তোলার জন্য বাড়িতে-বাড়িতে গিয়ে টিকাসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রচারে রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন।
সংস্থাটির কক্সবাজার অফিস প্রধান ঋষিকেশ হরিচন্দন বলেন, টিকা বণ্টনে বৈশ্বিক বিভাজনের কারণে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মানুষরা টিকার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ক্যাম্পসহ উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা কক্সবাজারের পূর্ণবয়স্ক সবাইকে দ্রুত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত তিন শতাংশের কম মানুষ সম্পূর্ণভাবে করোনা টিকা সুবিধার আওতায় এসেছেন। রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা সরকারের এসব কর্মসূচিতে শুরু থেকেই সহযোগিতা করছে। দেশে চলমান গণটিকা কর্মসূচিতেও সহায়তা করছে সোসাইটি।
এনআই/ওএফ