দেশে বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা চার কোটি ৮০ লাখ। ব্যবহারকারীর দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম।

সোমবার (৯ আগস্ট) ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ও বিটিআরসির মধ্যে বিনিয়োগ সংক্রান্ত এক উচ্চ পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। এ সময় জানানো হয়, দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে ফেসবুকের আগ্রহ রয়েছে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে ফেসবুক।

বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার বক্তব্য রাখেন। এ সময় ফেসবুকের সিঙ্গাপুর আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ বিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি সাবনাজ রশিদ দিয়া, হেড অব কানেকটিভি টম সি, ভার্গিস ও কানেকটিভিটি অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা তাহানি ইকবাল ফেসবুকের প্রতিনিধিত্ব করেন।

এতে বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বাংলাদেশের টেলিকম খাতের অগ্রগতির চিত্র উপস্থাপন করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের টেলিকম খাতের সার্বিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল সংযোগ খাতকে বিনিয়োগের একটি থ্রাস্ট সেক্টর (অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত)। আমাদের ডিজিটাল অবকাঠামো গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এবং তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনাকালে দেশের মানুষের অচল জীবনযাত্রাকে ডিজিটাল সংযোগের অসামান্য অগ্রগতির কারণে সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে অফিস-আদালতের কার্যক্রম এবং শিক্ষাকার্যক্রম ঘরে বসে করা সম্ভব হচ্ছে। আমাদের শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো না থাকলে তা সম্ভব হতো না।

২০১৮ সালে বার্সিলোনায় মোবাইল কংগ্রেসের সাইড লাইনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সফলতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে বৈঠকটি ছিল খুবই ফলপ্রসূ। বলা যায়, এরই ধারাবাহিকতায় ফেসবুকের সঙ্গে সম্পর্কের বরফগলা শুরু হয়।

তিনি বলেন, দেশব্যাপী ডিজিটাল সংযোগ সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশে উচ্চগতির ইন্টারনেটের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। শক্তিশালী নেটওয়ার্ক যত সম্প্রসারিত হবে ফেসবুকের ব্যবহারকারী তত বাড়বে, এতে ফেসবুকও অনেক বেশি লাভবান হবে।

মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশে ফেসবুকের বিনিয়োগ ক্ষেত্র ও এ বিষয়ক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের মাধ্যমে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বলেন, বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবসার বিরাট সুযোগ রয়েছে।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগাতে আগ্রহী। তারা মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশে এক্সপ্রেস ওয়াইফাই, টেরাগ্রাফ, ওপেন ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক এবং জিরো রেটেট প্রোগ্রামের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

একে/এসএসএইচ