দেশে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন আলু অবিক্রিত রয়েছে। এসব আলু বিক্রিতে কৃষিমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশে কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে এ সহযোগিতা চান। এ সময়ে এফবিসিসিআই’র নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন পুষ্টি, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসতিয়াক আহমেদ, ময়নাকুটি কোল্ডস্টোরেজের চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুর মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি দল কোল্ডস্টোরেজে মজুত করা ও উদ্বৃত্ত আলু বিক্রিতে কৃষিমন্ত্রীর সহযোগিতা চান। এ সময় তারা বলেন, চলতি ২০২১ মৌসুমে এক কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। বিপরীতে দেশে আলুর চাহিদা ৮৫-৯০ লাখ মেট্রিক টন।

প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রায় ২০ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত রয়েছে। এ বছর প্রায় ৪০০ হিমাগারে ৫৫ লাখ টন খাবার আলু, বীজ আলু ও রফতানিযোগ্য আলু সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে আলুর বাজারদর কম। সংরক্ষিত আলু বাজারজাত না করতে পারলে বিপুল পরিমাণ আলু অবিক্রিত থাকার সম্ভাবনা দেখা দেবে।

গতবছরের মতো এ বছরও ত্রাণসহ বিভিন্ন সরকারি কাজে আলু বিতরণের দাবি জানিয়ে প্রতিনিধিরা বলেন, সরকারিভাবে কিনে ত্রাণ, কাবিখা, ভিজিএফ, ওএমএস, রোহিঙ্গাদের মধ্যে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রেশনে আলু বিতরণ করলে উদ্বৃত্ত আলুর সুষ্ঠু ব্যবহার সম্ভব হবে।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, গতবছর করোনার শুরুর দিকে আমরা বিভিন্ন ত্রাণ কাজে, রোহিঙ্গাদের মধ্যে ও রেশনে আলু বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। এর ফলে আলুর ব্যবহার অনেক বেশি হয়েছিল এবং শেষ দিকে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। এ বছর উদ্বৃত্ত আলুর বাজারজাতের জন্য উচ্চপর্যায়ে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আলু সুষ্ঠু বাজারজাতে স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি রফতানি বাড়াতে হবে। সেটি বিবেচনায় নিয়ে আলুর রফতানি বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে। আগামীতে আলুর রফতানি অনেক বাড়বে।

একে/এসএসএইচ