আজকের বাংলাদেশ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, তার মূল ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কৃষি, ব্যাংক-বিমা, বিদ্যুৎ-যোগাযোগ, সব বিষয়ে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা করে গেছেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি। উন্নয়ন দর্শন, পরিকল্পনা, ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু এখনও বেঁচে আছেন বাংলাদেশের প্রতিটি অগ্রযাত্রায়।

বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) এফবিসিসিআই আয়োজিত সেমিনারে বক্তরা এসব কথা বলেন।

‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন: শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারের স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আজকের বাংলাদেশ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, তার মূল ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কৃষি, ব্যাংক-বিমা, বিদ্যুৎ-যোগাযোগ, সব বিষয়ে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা করে গেছেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি। ষড়যন্ত্রকারীদের নির্মম হত্যাযজ্ঞে, বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের অকাল প্রয়ানে সদ্য জন্মানো রাষ্ট্রের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়েছে। কিন্তু ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে, উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এখনও সরকারি যেসব পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়, সেগুলো জাতির পিতার দিয়ে যাওয়া নির্দেশনার আলোকেই বাস্তবায়িত হচ্ছে। উন্নয়ন দর্শন, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু এখনও বেঁচে আছেন বাংলাদেশের প্রতিটা অগ্রযাত্রায়।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সেমিনারে বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বাস্তবতায় পাকিস্তানিদের ফেলে যাওয়া কলকারখানা জাতীয়করণ করেছেন, কিন্তু দেশ স্থিতিশীল হওয়ার পরে, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একটি ভারসাম্যমূলক অর্থনীতি গঠন করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন।

স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআইর জসিম উদ্দিন বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, ভঙ্গুর অর্থনীতি, বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেই মাথাপিঁছু আয় ৯৩ ডলার থেকে ২৭১ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিলেন তাতেই প্রতিফলিত হয়েছিল তার গণমুখী আধুনিক দর্শন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। এর আগে প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, এ. কে আজাদ, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ব্যারিস্টার নিহাদ কবির।

আরএম/এসএস