বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে অগ্রসর হয়েই বাংলাদেশ আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

বুধবার (১১ আগস্ট) ঢাকায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা দেখে দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে উপকূলীয় বনায়ন, বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি চালু করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কার্যক্রম শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্বসাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে অগ্রসর হয়েই বাংলাদেশ আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন করে বঙ্গবন্ধু পরিকল্পিতভাবে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন উল্লেখ করে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিন্তু ৭৫’এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে সে উন্নয়ন যাত্রাকে নস্যাৎ করে দেয় ঘাতকরা।

১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে এগিয়ে আসার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন প্রতিমন্ত্রী।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম।

এবি তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। 

২১০০ সালকে সামনে রেখে বর্তমান সরকার উন্নয়নের রোডম্যাপ তৈরি করছে বলেও জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্বের কারণেই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।

তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বঙ্গবন্ধুর দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর খবর বিশ্বের বিখ্যাত পত্রিকায় প্রচারিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মতো নেতার এ দেশে জন্ম হয়েছে বলেই আমরা একটা স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি।

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসএইচআর/এসএসএইচ