করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। ফলে ১৯ দিন পর সড়ক ও রেলপথের মতো ফের সচল হয়েছে নৌপথও। শিথিল বিধিনিষেধের প্রথম দিনে রাজধানীর অভ্যন্তরীণ নৌবন্দর সদরঘাট থেকে বুধবার (১১ আগস্ট) দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের লঞ্চ ছাড়ছে এবং আসছেও।

সন্ধ্যায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, শত শত মানুষ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে ভিড় করেছেন ঘাটে। যানজট ঠেলে কেউ গাড়িতে কেউবা হেঁটে এসেছেন সদরঘাটে। কেউ একা আবার কেউ পরিবার নিয়ে ব্যাগ হাতে ছুটছেন নিজ গন্তব্যে। সকালে যারা নানা কাজে ঢাকায় এসেছেন, তারাও বাড়ি যেতে ঘাটে দাঁড়িয়েছেন। সদরঘাটের টিকিট কাউন্টারেও দেখা গেছে মানুষের ভিড়। ঘাটে এত মানুষের ভিড় সত্ত্বেও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রী তেমন নেই।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ৬৫টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে সদরঘাট টার্মিনালে এসেছে ২৬টি লঞ্চ। রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ৮৫টি লঞ্চ সদরঘাট ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

শরীয়তপুর গোসাইরহাট যেতে পন্টুনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন শিক্ষক আবুল হোসাইন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালে ঢাকায় এসেছি। শিক্ষা অফিসে একটি কাজ ছিল। কাজ শেষে এখন বাড়ি ফিরতে অপেক্ষা করছি। লঞ্চ ছাড়বে রাত ১০টায়।

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী জুনুন চৌধুরী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদে বাড়ি যেতে পারিনি। আমি এখনও যেতে পারছি না। তবে পরিবারকে বাড়িতে পাঠাচ্ছি। তাই তাদের এগিয়ে দিতে এসেছি।

ঢাকা-বেতুয়া (চরফ্যাশন) রুটের এমভি ফারহান-৫ এর কর্মী সোলাইমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, যাত্রী যেমন প্রত্যাশা করছিলাম, তেমন নেই। স্বাভাবিক সময়ে ৭০০ থেকে ৮০০ যাত্রী পরিবহন করতাম। এখন সাড়ে তিনশ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়তে হচ্ছে।

সদরঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দিনেশ কুমার সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’

এমএইচএন/এসএসএইচ