পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তার মৃত্যু নেই। তিনি চিরঞ্জীব। কেননা একটি জাতিরাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি তিনিই। যতদিন এ রাষ্ট্র থাকবে, ততদিন অমর তিনি। ৭৫ এর খুনিরা আজ পরাজিত। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ।

শনিবার (১৪ আগস্ট) অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি আয়োজিত ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এনামুল হক শামীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন, এক মহান আদর্শের নাম। যে আদর্শে উজ্জীবিত হয়েছিল গোটা দেশ। বঙ্গবন্ধু বাংলার প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে একটি অবিনাশী চেতনা। এই চেতনা কখনো, কোনো দিন মুছে ফেলা যাবে না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আগে অনেক নেতাই দেশকে স্বাধীন করার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। কিন্তু চূড়ান্ত মুক্তির পথ দেখাতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে আশাহত করেননি। তিনি ধীরে ধীরে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা দিয়ে। তার নেতৃত্বেই আমাদের স্বাধীনতা এসেছে।

এনামুল হক শামীম বলেন, আমরা যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি, তাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। জাতির পিতার নির্দেশিত পথেই দেশকে পরিচালিত করছেন তার কন্যা। বঙ্গবন্ধুর মতোই সাহসী, সৎ ও দেশপ্রেমী। তার সততা, দক্ষতা ও মেধা ও যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল।

অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু সত্যিকার অর্থে সেদিনই বিশ্বনন্দিত নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, শুধু একটি ভাষণ দিয়ে একটি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করার ইতিহাস কেবল বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তিনি তার রাজনৈতিক ভিশন দিয়ে একটি পরাধীন জাতির যে মুক্তির রূপরেখা দিয়েছিলেন সেই দর্শনে দীক্ষিত হয়ে বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষ নিঃশর্তে জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিল।

অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদারের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিক উদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার এ কে এম দেলোয়ার হোসেন এফসিএমএ, সদস্য অধ্যাপক ড. এম শাহীন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এইউএ/এসকেডি