এফএএস ফাইন্যান্সের এমডিসহ পরিচালনা পর্ষদকে জিজ্ঞাসাবাদ
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) কেলেঙ্কারিতে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক এমডি ও ডিএমডিসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের যোগসাজশে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও এফএএস ফাইন্যান্স থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গবার (১৭ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম।
প্রথম পর্যায়ে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল হক গাজী দুদকে হাজির হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সংস্থাটির জনসংযোগ দফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া আজ পর্যায়ক্রমে আরও যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে- এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক এম. এ হাফিজ, মো. আবুল শাহজাহান, কাজী মাহজাবিন মমতাজ, মাহফুজা রহমান বেবী, সোমা ঘোষ, ডা. উদ্দাব মল্লিক, মো. আতারুল ইসলাম এবং অরুণ কুমার কুন্ডু।
সোমবার (১৭ আগস্ট) একই অভিযোগে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের মোট ১২ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। গত ৮ আগস্ট এফএএস ফাইন্যান্সের শীর্ষ ২৬ কর্মকর্তা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চার জনসহ মোট ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক।
অভিযোগ রয়েছে, আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদার ও তার সহযোগীদের যোগসাজশে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও এফএএস ফাইন্যান্স থেকে লুটপাট হয় দুই হাজার কোটি টাকা। শুধুমাত্র একটি কম্পিউটার ব্যবহার করে ৩০টি কাগুজে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে মর্টগেজ ছাড়াই ঋণ নিয়ে এমন আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। এতে আরবি এন্টারপ্রাইজ, জিঅ্যান্ডজি এন্টারপ্রাইজ, তামিম অ্যান্ড তালহা এন্টারপ্রাইজ, ক্রসরোড করপোরেশন, মেরিন ট্রাস্ট, নিউটেক, এমএসটি মেরিন, গ্রিন লাইন ডেভেলপমেন্ট, মেসার্স বর্ণের মতো অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। যার রেকর্ডপত্র দুদকের অনুসন্ধান টিমের কাছে রয়েছে।
দুদক উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম পিকে হালদারসহ সংশ্লিষ্টদের আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি অনুসন্ধান করছেন। ওই টিম এরই মধ্যে ১৫টি মামলা করেছে।
ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রথমে মামলা করে দুদক। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি দুদকের অনুরোধে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করে ইন্টারপোল।
পি কে হালদার কেলেঙ্কারিতে এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ১১ জন। যাদের মধ্যে উজ্জ্বল কুমার নন্দী ছাড়াও পি কে হালদারের সহযোগী শংখ বেপারী, রাশেদুল হক এবং সর্বশেষ অবান্তিকা বড়াল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরএম/এসএসএইচ