২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব শূন্য করার আরও একটি ষড়যন্ত্র ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

শনিবার (২১ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকাস্থ বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রেরই ফসল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য তাদের উদ্দেশ্য সফল সমাপ্তিতে পৌছায়নি। পঁচাত্তরের পর ৬ বছরের শরণার্থী জীবন শেষে ৮১ সালে দেশে ফেরার পর ১৫ বছর মরণপণ যুদ্ধ করে ২১ বছরের জঞ্জাল অপসারণ করেন শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, হাজার বছর ধরে ব্রিটিশ, পাকিস্তানিরাসহ বিদেশিরা বাঙালির এই উর্বর ভূখণ্ডে শাসন করেছে, শোষণ করেছে, সম্পদ লুট করেছে। বঙ্গবন্ধুই হাজার বছরের পরাধীন জাতিকে মুক্ত করেছেন। পৃথিবীতে বাংলা ভাষা ভিত্তিক বাঙালির একমাত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। 

তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে স্মরণ করতে হলে তাকে নিয়ে বিস্তারিত পড়াশোনা করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। তা না হলে বঙ্গবন্ধুকে সঠিক মূল্যায়ন সহজ হবে না।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশের অগ্রগতিতে বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ৯৬ থেকে ২০০১ ও গত ১২ বছরে অভাবনীয় উচ্চতায় বাংলাদেশকে উন্নীত করেছেন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বিশ্বের রোল মডেল।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার বর্ণনা করে বলেন, হত্যাকারীরা কেবল বিশ্বাসঘাতকই ছিল না, তারা ছিল অকৃতজ্ঞ। বঙ্গবন্ধুর হত্যার কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই বিশ্বে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করত। তারা বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চলমান সংগ্রামে ভূমিকা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সভায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি’র সভাপতি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সাবেক সিনিয়র সচিব আবদুস সামাদ।

উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বস্ত্র ও পাট সচিব আবদুল মান্নান, প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সচিব মো. আবুল মনসুর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সাধারণ সম্পাদক, ডিবি ঢাকা উত্তরের যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ।

একে/জেডএস