আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি সৈয়দ আবেদ হাসান ও সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরীকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২২ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুপুর ১টা থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

গত ১৬ মার্চ তাদের গ্রেফতার করে দুদক। গ্রেফতারের পর আদালতে উপস্থাপন করলে তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রোববার রিমান্ডের প্রথম দিন।

এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি পি কে হালদার কেলেঙ্কারিতে ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩৩ জন শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৫টি মামলা করে দুদক। 

মামলার অভিযোগে আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা, সুখাদা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের নামে ৬৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা, মেসার্স বর্ণ-এর নামে ৬৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, রাহমান কেমিক্যালস লিমিটেডের নামে ৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ও মুন এন্টারপ্রাইজের নামে ৮৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে একটি মামলার আসামি তারা।

যে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় ওই মামলার এজাহারের অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ভুয়া ও অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠান আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে জাল রেকর্ডপত্র প্রস্তুত করে। এরপর তা সঠিক হিসাবে ব্যবহার করে ওই অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের মালিককে ভুয়া ঋণ পেতে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা এবং সংশ্লিষ্ট ঋণের গ্রহীতা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ মাধ্যমে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকার ভুয়া ঋণের কাগজপত্র প্রস্তুত করে আত্মসাৎ করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ওই মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। 

ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলোচিত পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করে দুদক। তার কিছুদিন পর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ১৫টি মামলা করে দুদক। 

আরএম/জেডএস