৯০ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটিতে বাংলাদেশে এসে করোনার কারণে আটকে পড়েছেন প্রায় দুই হাজার কর্মী। তারা এখন দক্ষিণ কোরিয়ার নিজ কর্মস্থলে ফিরতে চান। এজন্য সাহায্য চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান আটকে পড়া প্রবাসীরা। সংবাদ সম্মেলনে তাদের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এস এম আলী।

তিনি বলেন, আমরা দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী কমিটেড রি-এন্ট্রি কর্মীরা ৯০ দিনের আবশ্যক ছুটিতে দেশে এসে করোনা মহামারির কারণে প্রায় ২ বছর ধরে আটকে আছি। আমরা এখন অনেক দুর্দশার মধ্য দিয়ে সময় পার করছি। দক্ষিণ কোরিয়া ২০০৮ সাল থেকে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী সংগ্রহ করে আসছে। আমরা বাংলাদেশি কর্মীরা বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া প্রবেশ করে আসছি। ২০০৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার ৯৩৩ জন বাংলাদেশি কর্মী ইপিএসের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া গিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশি কর্মীরা দক্ষিণ কোরিয়ায় অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছি। ইপিএস আইন অনুযায়ী কোরিয়া প্রবেশ করে একই কোম্পানিতে ৪ বছর ১০ মাস কাজ করার পর কমিটেড কর্মী হিসাবে আগের কোম্পানিতে ফের প্রবেশ করা যায়। এজন্য ৯০ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটিতে আমরা রি-এন্ট্রি কমিটেড হিসাবে ৮৬২ জন এবং নতুন ভিসা প্রাপ্ত প্রায় এক হাজার ১০০ জন ইপিএস কর্মী দেশে আটকে আছি। এতে করে প্রায় ২ বছর ধরে বাংলাদেশ সরকার প্রতি মাসে প্রায় ৩০ কোটি টাকার বেশি রেমিটেন্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

আলী বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের ফলে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশ ভিসা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে। আমাদের দেশের করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভিসা নিষধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ভিসা নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার পরেও আমরা কমিটেড কর্মীরা দক্ষিণ কোরিয়া প্রবেশ করতে পারিনি। ফলে নিভতে শুরু করেছে আমাদের আশার আলো। এ অবস্থায় আমরা দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে যেতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে ইপিএস কর্মীদের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন মৃদুল সোম, রতীন্দ্র মোহন প্রমুখ।

এমএইচএন/জেডএস