জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে ছয় একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে কালার স্টাইল বাংলাদেশ নামে একটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কার্যালয়ে এ বিষয়ে জমি লিজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 

চুক্তিতে বেজার পক্ষে নির্বাহী সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) (অতিরিক্ত সচিব) জনাব আলী আহসান এবং কালার স্টাইল বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান নিজ নিজ পক্ষে সই করেন।

বেজা জানায়, চুক্তি অনুসারে রেসাসকেমি ইন্ডাস্ট্রিয়াল নামক একটি তুর্কি কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে জামালপুরে দুটি শিল্প-কারখানা স্থাপন করবে কালার স্টাইল। এর মধ্যে রেসাসকেমি বাংলাদেশ লিমিটেড শিল্প-কেমিক্যাল এবং মাজ টেক্সটাইল লিমিটেড শতভাগ রফতানিমুখী নিট কম্পোজিট উৎপাদন করবে। কালার স্টাইল জামালপুরে মোট বিনিয়োগ করবে ১১ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে অন্তত ১ হাজার ২৩৫ জন লোকের।

অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, করোনার মধ্যেও নতুন কারখানার নির্মাণকাজের সূচনা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর। দেশে পরিকল্পিত শিল্পায়নের অংশ হিসেবে জামালপুরের এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিকে খাদ্য ও কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হচ্ছে। ফলে স্থানীয় জনগোষ্ঠী দেশের মূলধারার অর্থনীতির চাকার সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন উদাহরণ তৈরি হবে।

কালার স্টাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানার নির্মাণ কাজ শুরু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা শিগগির উৎপাদনে যাব।

উল্লেখ্য, জামালপুর সদরের দিগপাইত ও তিতপল্লা ইউনিয়নে ৪৩৬ একর জায়গার ওপর তৈরি হচ্ছে জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল। বেজা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৩২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস সংযোগ লাইন ও ৩৩/১১ কেভিএ বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, ভূমি উন্নয়ন, ভূ-গর্ভস্থ পানি সংরক্ষণ, সীমানা প্রাচীর ও অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০০ একরের একটি উন্মুক্ত জলাধারও নির্মাণ করা হবে।

এসআর/ওএফ