জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম, পরিবেশ সংরক্ষণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং কারিগরি ও গবেষণা ক্ষেত্রে ব্রিটেন বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। এমনটিই জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।

বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাক্ষাৎ করে ব্রিটিশ হাইকমিশনার এ আশ্বাস দেন। হাইকমিশনারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায়। 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে জানান, বাংলাদেশ ক্লাইমেট  ভালনারিবিলিটি ফোরাম এবং ভালনারেবল-২০ এর সভাপতি হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ সামগ্রিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন চূড়ান্ত করে ৩১ আগস্ট এর পূর্বে ইউএনএফসিসিতে জমা দেবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী এ সময় ব্রিটেনের আয়োজনে আগামী নভেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের সফলতা কামনা করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ দরিদ্র দেশগুলোতে ধনী দেশগুলোর প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানসহ প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অন্যান্য বিষয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ঐক্যমত্যে পৌঁছাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী এ সময় জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে ব্রিটেনের সহযোগিতা কামনা করেন।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী,  যুগ্ম-সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের জলবায়ু ও পরিবেশ প্রোগ্রামের প্রধান জন ওয়ারবার্টনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/আরএইচ