মিরপুর বিস্ফোরণ : আইসিইউতে একজনের মৃত্যু
রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরের সি ব্লকে গ্যাসের পাইপলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ রিনা আক্তার (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাত ১০টা ২০ মিনিটে আইসিইউতে মারা যান তিনি। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বিস্ফোরণে দগ্ধ সাতজন এখানে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে চারজনকে আইসিসিতে ভর্তি করা হয়। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউর ১৪ নম্বর বেডে রিনা আক্তার মারা যায়। তার শরীরের ৭০ শতাংশ ফ্লেম বার্ন ও ইনহ্যালেশন ইনজুরি হয়েছিল। বাকি তিনজনের অবস্থাও ভাল নয়।
তিনি আরও বলেন, শিশুসহ তিনজন ফিমেল এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নিহতের ছেলে রফিকুল ইসলাম জানান, আমার মা আইসিইউতে মারা গেছেন। আইসিইউতে আরও যারা আছেন তাদের অবস্থাও ভাল না। আমরা তার লাশ মিরপুরে নিয়ে যাব।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ সাতজন দগ্ধ হয়। তারা হলেন- নওশীন (৫), শফিক (৩৫), সুমন ( ৪০), রোওশনারা (৭০), রিনা (৫০), নাজনীন (২৫) ও রেনু (৩৫)। তাদের মধ্যে নওশীনের ১৫ শতাংশ, শফিকের ৮৫ শতাংশ, সুমনের ৪৫ শতাংশ, রোওশনারার ৮৫ শতাংশ, রিনার ৭০ শতাংশ, নাজনীনের ২৭ শতাংশ ও রেনুর ৩৮ শতাংশ ফ্লেম বার্ন ও ইনহ্যালেশন ইনজুরি হয়েছে।
এখন আইসিইউতে শফিক, সুমন ও রোওশন আরা ভর্তি রয়েছেন। আর ফিমেল এইচডিইউর ৩ নম্বর বেডে নওশীন, ১৮ নম্বর বেডে নাজনীন ও ১৬ নম্বর বেডে রেনুর চিকিৎসা চলছে।
এসএএ/ওএফ