চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় পা পিছলে নালায় পড়ে নিখোঁজ ছালেহ আহমেদের সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে শনিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, চতুর্থ দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। কিন্তু নিখোঁজ ছালেহ আহমদের কোনো সন্ধান মেলেনি।

তিনি আরও বলেন, উদ্ধার অভিযানের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে ছালেহ আহমদের সন্ধানে অভিযান শুরু করেছি। ওই দিন সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েছিলাম। রাতে অভিযান বন্ধ ছিলো। আজ আমরা শমসেরপাড়া রেললাইন এলাকার নালায় তল্লাশি চালাচ্ছি। কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হবে।

মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন বলেন, পানিতে কারও মৃত্যু হলে সাধারণত মরদেহ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভেসে উঠে। তিনদিন পরও যেহেতু ছালেহ আহমদের খোঁজ পাচ্ছি না, তাই মনে হচ্ছে মরদেহটি ময়লায় আটকে থাকতে পারে। কারণ নালার অনেক জায়গায় ময়লা আটকে আছে। এছাড়া ঘটনার দিন নালায় অনেক স্রোত ছিল। সে কারণে মরদেহ কর্ণফুলী নদীতে গিয়েও পড়তে পারে। এরপরও ফায়ার সার্ভিস সম্ভাব্য সবস্থানে অভিযান চালাচ্ছে। 

উল্লেখ্য, বুধবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর এলাকায় আয়োজন রেস্টুরেন্টের সামনে পা পিছলে নালায় পড়ে যান তিনি। দুর্ঘটনাস্থল ওই নালায় কোনো স্ল্যাব ছিল না।

বুধবার এ ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে, ছালেহ আহমেদ নামের ওই ব্যক্তি একটি বাস থেকে নেমে নালার পাড় ধরে হেঁটে আসছিলেন। হঠাৎ কোনো কারণে তিনি ভারসাম্য হারিয়ে পা পিছলে নালায় পড়ে যান। এ সময় এক লোক তাকে টেনে ধরতে হাত বাড়িয়েছিলেন কিন্তু ছালেহ আর উঠতে পারেননি।

জানা গেছে, সালেহ আহমদ নগরীর চকবাজারের কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়।

কেএম/এমএইচএস