রাজধানীর সেগুনবাগিচা বটতলা এলাকায় একটি প্রাইভেটকার থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের নাম সিয়াম (১৯) ও রাকিব (২৭)। তারা বাচ্চু মোটরসের কর্মচারী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকালে স্থানীয়দের খবরে নাভানা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে পার্ক করা গাড়ি থেকে ওই দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।

প্রাথমিক সুরতহাল শেষে উদ্ধার করা মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মৃত দুই ব্যক্তি ওই প্রাইভেটকারের ডেন্টিংয়ের কাজ করছিলেন। সোমবার রাতেও তারা কাজ করেছেন। কিন্তু সকালে তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে নাভানার ফিলিং স্টেশনের লোকজন ও স্থানীয়রা শাহবাগ থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

ডিসি সাজ্জাদ বলেন, ঘটনাটি আত্মহত্যা, খুন নাকি তারা অন্য কোনোভাবে মারা গেছে তা প্রাথমিকভাবে ধারণা করা সম্ভব হচ্ছে না। ময়না তদন্তের পর বলা সম্ভব হবে। তদন্ত শুরু হয়েছে, ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সিয়ামের চাচা কোরবান মোটরসের মালিক জহিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, তার (সিয়াম) বাবা মারা যাওয়ার পর আমার কাছে থাকত। রাতে ফোন দিয়ে চাচিকে বলেছে আমি আজকে বাসায় আসব না। পরে সকালে খবর পেয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলাম। কিন্তু ভাতিজাকে বাঁচাতে পারলাম না। একসঙ্গে দুইজন কীভাবে মারা গেল বুঝতে পারলাম না।

নিহত রাকিবের মামা রামিন জানান, সে বাচ্চু মোটরসে কাজ করে। রাতে কাজ শেষে তারা গাড়িতে ঘুমায়। সকালে খবর পেলাম তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। আসার পরে শুনি সে মারা গেছে।

বাচ্চু মটরসের মালিক বাচ্চু মিয়া জানান, রাকিব আমার এখানে ৬ মাস হলো কাজ করছে। রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে রাকিব ও সিয়াম গাড়িতে ঘুমায়। সকাল সাড়ে ৮টায় তাদের একবার ডাক দেওয়া হয়েছে কিন্তু তারা ওঠেনি। পরে সাড়ে ৯টায় আবারও ডাক দিলে তারা সাড়ানো দেওয়ায় গাড়ির লক ভেঙে তাদের দুজনকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক দুই জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রাকিবের বাড়ি ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার মগলুমুন্সি গ্রামে। সে ওই এলাকার মো. হানিফের ছেলে। আর নিহত সিয়ামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার লালমাই গ্রামে। সে ওই এলাকর জসিমউদ্দিনের ছেলে।

জেইউ/এসএএ/জেডএস