উন্নয়ন প্রকল্প, খোঁড়াখুঁড়ি ও জনভোগান্তি দূরীকরণে সড়ক খনন নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ প্রয়োজন। পাশাপাশি নির্মাণ অব্যবস্থাপনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা, অযোগ্য ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন আলোচকরা।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের উদ্যোগে ‘সমসাময়িক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় সভায় এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প, খোঁড়াখুঁড়ি ও জনভোগান্তি রোধে সড়ক খনন নীতিমালা থাকলেও সেটা উপেক্ষিত। নীতিমালায় জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত খননকাজ পরিহার করার কথা উল্লেখ থাকলেও সেটা মানা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আন্তঃসংস্থা সমন্বয় নেই, সিটি করপোরেশনের কাছে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রদানের কথা বলা থাকলেও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে তেমন সাড়া পাওয়া যায় না।

তিনি বলেন, জনভোগান্তি কমাতে এলাকাভিত্তিক কমিউনিটি গ্রুপের সঙ্গে সেবা সংস্থার আলোচনা ও করণীয় নির্ধারণ, সড়ক খনন নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ, নীতিমালা অনুযায়ী ‘ওয়ান স্টপ’ সমন্বয় সেল এবং সিটি করপোরেশনের অঞ্চলভিত্তিক কয়েকটি ‘মনিটরিং সেল’ কার্যকর করা প্রয়োজন।

ড. আদিল বলেন, ঢাকা মহানগরী ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার এবং মেট্রোরেল উদ্বোধন বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী মাইলফলক। তবে মেট্রোরেলের প্রকল্পের দ্রুত অগ্রগতি ও সম্পূর্ণ মেট্রো নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হলে নগরবাসী প্রকৃত সুফল পাবে। মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ সুফল পেতে হলে মেট্রো স্টেশনগুলোর সঙ্গে নগরের মাল্টি মোডাল কানেক্টিভিটি তৈরি করবার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতা রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদার নির্বাচনে দুর্বলতা, মানসম্পন্ন উপকরণ ব্যবহার না করা, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না থাকার ফলে মানসম্পন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সহ-সভাপতি পরিকল্পনাবিদ মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, পেশাদারিত্বের অভাবে নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট টাকার অংকে প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে না। তাই এসব প্রকল্পের ফলে জনদুর্ভোগ ও দীর্ঘসূত্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ জনদুর্ভোগ কমানোকে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া উচিত। 

এএসএস/এসকেডি