তথ্যপ্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে তথ্যপ্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি বলেন, জনগণের বৃহত্তর সুবিধা ও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইনসহ অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তির প্রচলন করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বছরে গড়ে সাত লাখের অধিক পরিমাণ সেবা দিয়ে থাকে। এই সেবাগুলোকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নেওয়া হলে সাধারণ জনগণ অনেক উপকৃত হবে। তারা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে কম সময়ে সেবা নিতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল আর্কাইভ এবং ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব বিষয়ক একটি সভায় তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও আইসিটি ডিভিশনের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
পররাষ্ট্র সচিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৫ আগস্টে নির্মমতার শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সকল সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপান্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
বিজ্ঞাপন
মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে নতুনভাবে চিন্তা করা এবং সাজানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন পররাষ্ট্র সচিব।
এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান দেশে তৈরি ‘বৈঠক’ অ্যাপ সর্বপ্রথম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্যবহারের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেবাগুলো ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
আইসিটি বিভাগের ডিএসডিএল দল ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবে (ডিএসডিএল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেবাগুলোকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নেওয়ার ব্যাপারে এবং নথিগুলোকে ডিজিটাল আর্কাইভে সংরক্ষণের বিষয়ে উপস্থাপন করেন।
সভায় উপস্থিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতরা এ ব্যাপারে তাদের মতামত দেন। তারা নাগরিক সেবা জনগণের কাছাকাছি পৌঁছানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিজিটালাইজেশনের জন্য প্রয়োজনীয় গতিবেগ পেয়েছে। এটিকে কাজে লাগানোর এখনই উপযুক্ত সময়।
তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা করে বলেন, দেশে তৈরি বৈঠক অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথম আগ্রহ প্রকাশ করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশের ৭৮ মিশনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মিশন প্রধান ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এনআই/ওএফ