আইজিপির পরিচয় দিয়ে দুই ব্যাংকে ফোন করেন তিনি
জি-মেইল, ট্রু-কলার, আইকন এবং হোয়াটসঅ্যাপে তার নাম আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। এই নাম ব্যবহার করে ফোন দিতেন বিত্তশালীদের ও বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে। কারও কাছে চাইতেন টাকা, কাউকে চাকরির সুপারিশ। অবশেষে সিআইডির হাতে ধরা পড়লেন তিনি।
আইজিপির নামে প্রতারণা করা ওই ব্যক্তির নাম মো. আরিফ মাইনুদ্দিন (৪৩)। তিনি ম্যারিজ ডটকম নামে একটি ম্যারিজ ব্যুরোর প্রতিষ্ঠাতা। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঝিগাতলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
তিনি বলেন, আসামি একটি মোবাইল নম্বরে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে আইজিপির ছবি ও পদবি ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাউন্ট খুলে বিভিন্ন দফতর, বাণিজ্যিক ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ফোন করে নিজেকে আইজিপি হিসেবে পরিচয় দিতেন। এই পরিচয় দিয়ে অবৈধ সুবিধা নিয়ে আসছিলেন। এসব অপকর্মে তিনি ০১৯২৬৪৫০৬০৯ নম্বরের একটি সিম কার্ড ব্যবহার করতেন।
বিজ্ঞাপন
আরিফ মাইনুদ্দিন গত ২৬ আগস্ট এক্সিম ব্যাংকের হেড অফিসের হটলাইন নম্বরে এবং অ্যাসোসিয়েশন ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেডে ফোন দেন। এর তিনদিন পর মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ফোন দিয়ে ড. বেনজীর আহমেদের নাম বলে অনৈতিক ও আর্থিক সুবিধা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কথা বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, আসামি তার কর্মচারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সিমটি কিনে প্রতারণা করতেন। সম্প্রতি আইজিপি অফিস থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করি। সে বিভিন্ন ব্যাংকগুলোতে ফোন দিয়ে চাকরি চায়, আবার টাকাও চায়। তবে এ পর্যন্ত কারও কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারেননি।
আটক আরিফ বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সাইন্সে মাস্টার্স করেছেন। তিনি ঢাকা ব্যাংকে চাকরি করতেন। সেখান থেকে চাকরিচ্যুত হন। এরপরই এই অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন।
আসামির বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
এআর/এমএইচএস