সুপার শপের (শপিং মল) শেয়ার বিক্রির নামে বেতন থেকে বাধ্যতামূলক কেটে রাখা টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশের সব ইউনিট ও জেলার পুলিশ সুপারদের (এসপি) নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

ঢাকা পোস্টকে নির্দেশনা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সদস্যরা। নির্দেশনা পাওয়ার পর পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও জেলার এসপিরা এ বিষয়ে আদেশ জারি করেছেন।

সম্প্রতি ঢাকা পোস্টে ‘ছুটি নেই বেতনেও টান, অতঃপর আত্মহত্যা!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে কমিউনিটি ব্যাংক, শপিং মল, সুপার শপ, কল্যাণ তহবিলসহ নানা কারণ দেখিয়ে পুলিশ সদস্যদের বেতনের অংশবিশেষ কেটে নেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে।

পুলিশ সুপারদের জারি করা আদেশে পুলিশ সদস্যদের একটি ছক পূরণ করতে বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, “আইজিপির উদ্যোগ ও নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশের প্রত্যেকটি ইউনিটে জেলা পুলিশ কো-অপারেটিভ সোসাইটি সুপার শপ স্থাপনের শেয়ার ক্রয় নিয়ে ফেসবুকে নেতিবাচক মন্তব্য দেখা যাচ্ছে। যারা সুপার শপের শেয়ার ক্রয় করেছেন, তারা ইচ্ছা করলে বিনিয়োগের টাকা ফেরত নিতে পারবেন। আর যারা স্বেচ্ছায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী নন, তারা নিচের ছকে ‘না’ সূচক মন্তব্য করবেন।”

‘শেয়ার ক্রয় নং, ইউনিটের নাম, পুলিশ সদস্যের নাম, বিপি নম্বর, পদবি, সুপার শপ স্থাপনে স্বেচ্ছায় বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক কি না (হ্যাঁ/না), সুপার শপ স্থাপনে স্বেচ্ছায় বিনিয়োগের অর্থ ফেরত নিতে ইচ্ছুক কি না (হ্যাঁ/না), স্বাক্ষর ও মন্তব্য‘— প্রভৃতি বিষয় উল্লেখ আছে ওই ছকে।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার মধ্যে নিজ নিজ পুলিশ সুপার ও ইউনিট প্রধানের কার্যালয়ে এসব তথ্য জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ভার্চুয়ালি বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্প, পুলিশ ফাঁড়ি ও চেকপোস্টের ইনচার্জদের যুক্ত হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। 

বিশেষ কল্যাণ সভায় বাংলাদেশ পুলিশ কো-অপারেটিভ সোসাইটি, হতদরিদ্র পরিবারের গৃহনির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও বিবিধ কল্যাণমূলক বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। 

এআর/ওএফ/এমএআর/