চট্টগ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগুলো শিক্ষার্থী বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক উপস্থিতিতে ক্লাস করার জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা। দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে কলেজ খোলার ব্যাপারে যে ১৯টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমারা কলেজের প্রবেশমুখসহ বিভিন্ন স্থানে করোনার সতর্ক বার্তাসহ ব্যানার ও ফ্যাস্টুন টানিয়েছি।  এছাড়া প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের তাপমাত্রা পরিমাপ করার ব্যবস্থা করেছি। কলেজের প্রবেশ পথেই তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র থাকবে শিক্ষার্থীদের জন্য। হ্যান্ড স্যানিটাইজের ব্যবস্থাও থাকবে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য ১২টি পানির টেপ লাগানো হয়েছে। এছাড়া কলেজের প্রত্যেক ভবনের নিচে বেসিনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা আছে। সেগুলোতে সাবানের ব্যবস্থা থাকবে।

প্রফেসর কামরুল ইসলাম বলেন, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস হবে। তাদের প্রতিদিন দুটি করে ক্লাস হবে। এরমধ্যে একাদশ শ্রেণির ক্লাস সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকে শুরু হবে। তাদের দুটি ক্লাস সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এরপর তারা ক্যাম্পাস থেকে চলে যাবে। এরপর ৪৫ মিনিট বিরতি দিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে। তাদের দুটি ক্লাস হবে।

তিনি বলেন, প্রতি বেঞ্চে দুই জন করে শিক্ষার্থী বসানো হবে। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় পাঁচ ফুট দূরত্ব থাকবে। এছাড়া কলেজ ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে শনিবার সকালে চট্টগ্রামের স্কুলগুলোর খোলার প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় জেলা প্রশাসক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে স্বাভাবিক সময়ের মতো অভিভাবকদের স্কুলে এসে ভিড় না জমানোর আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য শিক্ষক অভিভাবক সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ হয়নি তাদের আজকের মধ্যেই শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি। 

সরকারি নির্দেশনা মেনে চট্টগ্রামের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধোয়া-মোছার কাজ শেষ করেছে। শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার সুবিধার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাড়তি বেসিন বসানোর পাশাপাশি সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে।

কেএম/এমএসএইচ