করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেশি এবং ভ্যাকসিন প্রদানের হার বাংলাদেশের চেয়ে কম হওয়া সত্ত্বে অনেক দেশের নাগরিকদের ব্রিটেনে প্রবেশের অনুমতি মিলছে। বিষয়টিকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, রেড লিস্ট থেকে বাংলাদেশের নাম না সরানোর বিষয়টি রাজনৈতিক ইস্যুও হতে পারে।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশি বহু লোক ব্রিটেনে যেতে চাচ্ছে। বাংলাদেশি লোক বাদ দিলাম বহু ব্রিটিশ সেখানে যেতে চাচ্ছে। কিন্তু তারা (ব্রিটিশ) ১০ দিনের বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টাইনের ভয়ে যেতে চাচ্ছে না। ব্রিটিশ ৫ থেকে ৬ হাজার নাগরিক এখানে (বাংলাদেশে) আছে, তারা যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে আছে। আমাদের লোকদের কথা বাদই দিলাম, আপনার লোকদের যেতে দিন। নাগরিকদের প্রতি আপনারা অবেহেলা করছেন। অথচ সেখানে আফগানদের নিয়ে আসছেন, তারা তো কোনো টিকার একটি ডোজও দেয়নি। তাদের নিচ্ছেন। এটা অযৌক্তিক।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে বলেছি, এটা তুলে নিতে। তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম প্রতিবেশী ভারতের কত লোক মারা গেছে কিন্তু তাদের আপনারা যেতে দিচ্ছেন। তখন তারা যুক্তি দিল, আমাদের টিকা কম। তখন আমি বলেছি, তোমরা তো টিকা দাওনি। শুধু বলেছ দেবে। আমরা ২৪ কোটি ডোজ টিকা লাইন আপ করে রেখেছি। ২ কোটি ২২ লাখ টিকা দিয়েছি। ২৬ পারসেন্ট প্রথম ডোজ পেয়ে গেছে। পরিমাণ খুব কম নয়।’

বাংলাদেশকে রেড লিস্টে রাখার বিষয়টি রাজনৈতিক কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘হতে পারে, না হলে এমন বৈষম্য হবে কেন? দুনিয়াতে ১৩৫টা দেশ আমাদের চেয়ে কম টিকা দিয়েছে। তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে, অথচ আমাদের দেওয়া হচ্ছে না; এটা বৈষম্যমূলক।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উচ্চ হার বিবেচনায় নিয়ে গত ৯ এপ্রিল বাংলাদেশকে রেড লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করে যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশসহ যেসব দেশ ব্রিটেন ভ্রমণে রেড লিস্টে রয়েছে, সেসব দেশ থেকে ব্রিটিশ নাগরিকরা দেশটিতে ঢুকতে পারলেও থাকতে হচ্ছে ১০ দিনের বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টাইনে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনে ঢাকা ও লন্ডনের মধ্যে চতুর্থ স্ট্র্যাটেজিক ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রেড লিস্ট থেকে বাংলাদেশের নাম সরানোর বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য ব্রিটেনকে অনুরোধ জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

এনআই/এসকেডি