নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য এখনও সময় আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে হয়ত নির্বাচন আয়োজন করা হতে পারে। তবে ডিসেম্বরের কোন সময়ে নির্বাচনটি আয়োজন করা হবে তা কমিশনই সিদ্ধান্ত দেবে। 

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ইসি ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। 

সচিব বলেন, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় চার হাজার ইউপিতে ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন। এ মাসের শেষে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে কয় ধাপে ইউপি ভোট হবে বা কখন হবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। 

জেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা দেওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। 

ইসি সূত্র জানায়, চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন, উপনির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের সব ধরনের নির্বাচন আয়োজন করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের তালিকা প্রস্তুত এবং আগামী সব নির্বাচন লক্ষ্য করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
 
সূত্র আরও জানায়, ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইসি থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সবশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর। প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসেবে এই সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হয়। সেই হিসাবে গত ১১ আগস্ট থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। আইন অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই সিটিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

উল্লেখ্য, চলতি কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি। এছাড়া করোনা সংক্রমণের কারণে ইতোমধ্যে কয়েকশ ইউপি ভোটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই চলতি বছরের মধ্যেই সব নির্বাচন সম্পন্ন করে যেতে চায় কমিশন। 

এসআর/এসকেডি