অবৈধ আয়কে বৈধ করার পূর্বপরিকল্পনায় কাগজে-কলমে ছেলেকে ব্যবসায়ী দেখিয়েও শেষ রক্ষা হলো না শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা নজরুল ইসলামের।

বরং নিজের অবৈধ আয়ের প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার বৈধ করার অপকৌশলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করার মামলার আসামি হলেন পিতা ও পুত্র দুজনেই।  

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক মো. মোনায়েম হোসেন বাদী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সংস্থার জনসংযোগ দফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মামলায় ছেলে মির্জা অনিক ইসলামকে প্রধান আসামি ও পিতা সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা নজরুল ইসলামকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা নজরুল ইসলামের অর্জিত অবৈধ আয়কে বৈধ করার পূর্বপরিকল্পনায় কাগজে-কলমে ছেলে মির্জা অনিক ইসলামকে কথিত ব্যবসায়ী হিসাবে দেখানো চেষ্টা করেছেন। ছেলে অনিক তার পিতার দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয়কে বৈধ করার পরিকল্পনায় সহযোগিতা করেছেন। পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসাবে ঢাকা ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও সাউথ ইস্ট ব্যাংকে ৭টি হিসাবে সন্দেহজনক উৎস থেকে ৭ কোটি ৩১ লাখ ৬৪ হাজার ১৬২ টাকা জমা করেন পিতা নজরুল। ২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১২ মার্চ পর্যন্ত ওই টাকার জমা হলেও অজ্ঞাত কারণে ৭ কোটি ২৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৫০ টাকা উত্তোলন করে তা আবার গোপন করেছেন।

অন্যদিকে, দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মাত্র ২ কোটি ৬৫ লাখ ১৬৯ টাকার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু গোপনকৃত ওই টাকার বিষয়ে পিতা ও পুত্র কোনো হিসাব দিতে পারেননি। বরং কাগজে-কলমে ছেলে অনিককে ব্যবসায়ী হিসাবে প্রমাণের ব্যর্থ চেষ্টা করে গেছেন।  

দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে তার পরস্পর যোগসাজশে হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবৈধ আয়কে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন। যে কারণে ছেলে মির্জা অনিক ইসলামকে প্রধান আসামি ও পিতা মির্জা নজরুল ইসলামে সহযোগী আসামি করে দুদক আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

আরএম/ওএফ