যমুনা তীরে স্যাটেলাইট সিটি গড়ে তোলা হবে
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
যমুনা নদীকে সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনতে পারলে নদীতীরে স্যাটেলাইট সিটি গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যমুনা নদীকে সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনতে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে একটি পরামর্শ চলছে, প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে যমুনা অর্থনৈতিক করিডোর। এটার সমীক্ষার কার্যক্রম শুরু হবে। যদি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে এখানে লাখ লাখ হেক্টর জমি শুধু সংগ্রহ করতেই পারব না, বরং যমুনার ভাঙনের একটি সমাধান দিতে পারব। যে জমি সংগ্রহ করা হবে সেখানে স্যাটলাইট সিটি গড়ে তোলা হবে। অর্থনৈতিক করিডোর-১ ও অর্থনৈতিক করিডোর-২ এই দুটি ফেজে কাজটি হবে।
বিজ্ঞাপন
এটি দীর্ঘমেয়াদী কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্যা ও নদী ভাঙন থেকে মানুষ যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা থেকে রক্ষা হবে। তিস্তা নদী নিয়েও একটি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সেগুলো নিয়েও কার্যক্রম চলছে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে নৌ পরিবহন খাত অপরিসীম উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌ বন্দরগুলোকে অনেক সক্ষম করে তোলা হয়েছে। ফলে করোনার সময়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নৌ পরিবহন খাত ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া ২০২৪ সালের মধ্যে বে টার্মিনাল করা হবে। এটা করা গেলে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ নোঙর বহির্নোঙর করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল গভীর সমুদ্রবন্দর করা। এরই মধ্যে তা চলছে মাতারবাড়িতে। এ প্রকল্পের পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে। এটা ২০২৪ সালে শেষ করতে পারব।
এসএইচআর/ওএফ