ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা নিজের, মা ও ভাইয়ের ব্যাংক হিসাবে রেখেও শেষ রক্ষা পাননি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক মো. ফারহানুল ইসলাম। বরং নিজের সঙ্গে ভাইকেও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার আসামি করলেন।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদকের জনসংযোগ দফতর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আসামিরা হলেন, বিআরটিএ’র নোয়াখালী সার্কেলের সহকারী পরিচালক মো. ফারহানুল ইসলাম ও তার ভাই মো. রায়হানুল ইসলাম।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বিআরটিএ’র নোয়াখালী সার্কেলে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন মো. ফারহানুল ইসলাম। মাত্র ছয় বছরের ব্যবধানে নিজের মা ও ভাইয়ের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ১০টি হিসাব পরিচালনা শুরু করেন। ১০টি ব্যাংক হিসাবের মধ্যে আটটি ব্যবহার করে ঘুষ, দুর্নীতি ও অবৈধভাবে অর্জিত মোট ১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা লেনদেন ও স্থানান্তর করেছেন। 

ফারহানুল তার আপন ভাই রায়হানুল ইসলামের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খোলেন।ভাইয়ের নামে খোলা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান শাখার ব্যাংক হিসাবে এক কোটি ১৩ লাখ টাকা, ডাচ বাংলা ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখার হিসাবে ১১ লাখ টাকা লেনদেন করেন। 

পরে তার মা লুৎফুন নাহারের নামে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার ব্যাংক হিসাব ও আইডিএলসি ফাইনান্স লিমিটেডের হিসাবে চার কোটি আট লাখ টাকা লেনদেন করেন।

এভাবে ফারহানুল ইসলাম নিজের, ভাই ও মায়ের নামে চারটি ব্যাংক হিসাব এবং দুটি ক্রেডিট কার্ডের হিসাবের মাধ্যমে ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে ১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর করে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)ও (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরএম/আরএইচ