সময়ের আলোচিত ইভ্যালির বিষয়ে আগামী ২৬ অক্টোবর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। সব কিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ই-ক্যাবের কাছে তিন মাস সময় চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় দেওয়া হয় ইভ্যালিকে।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, গত মাসে ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে ই-ভ্যালিকে নোটিশ দেওয়া হয়। সেই নোটিশের জবাবে তিন মাস সময় চেয়ে নেয় ইভ্যালি। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যবসা তো বন্ধ হয়ে যায়নি, চলমান রয়েছে। যখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে তখন বলা যাবে যে, সব শেষ হয়ে গেছে।

মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন মনে করেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত যে কেউ ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করলে একটা সুফল পাবেন। তিনি বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যে ভোক্তা অধিকার সব সময়ই উন্মুক্ত।

ইভ্যালির গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক, একটা কঠিন সময় পার করছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। বিশেষ করে গত কয়েকদিনের ঘটনায় অনেকেই হতাশ হয়ে যেতে পারেন। তবে হতাশ না হয়ে সামনের দিনের জন্যে অপেক্ষা ছাড়া কেনো গতি নাই। ভোক্তাদেরও সতর্ক থাকতে হবে।

`ইভ্যালির বিষয়ে ই-ক্যাব কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে’- জানতে চাইলে মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কাছে ইভ্যালি তিন মাস সময় চেয়েছে। এ সময় আগামী মাসের (অক্টোবর) ২৬ তারিখে শেষ হবে। এরপরে আমরা ইভ্যালি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

ই-ক্যাবের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের সব সময় সতর্ক হয়ে লেনদেনের পরামর্শ দেই। জেনে-শুনে দেখে-বুঝে তারপর ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন করা উচিত। এতে ক্ষতির আশঙ্কা অনেকাংশই কম থাকে।

ইভ্যালির বিষয়ে তিনি বলেন, গ্রাহকরা যেন আরও সতর্ক থেকে লেনদেন করেন এ পরামর্শ-ই দেব। ইভ্যালি আমাদের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যেও বড় একটা চ্যালেঞ্জ।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বাসায় র‌্যাব অভিযান চালায়। এরপর তাদের দুজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

একে/ওএফ/এসএম