একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন হাবিবুর রহমান। কাওরান বাজার সার্ক ফোয়ারার সামনে থেকে বনানী যেতে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত বাসের দেখা না মেলায় খেপের মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিংয়ে করে অফিসের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। জানালেন, প্রায় ২০ মিনিট বাসের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। এর মধ্যে বাস পেলেও সেগুলোতে চড়ার মতো অবস্থা ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে চুক্তিভিত্তিক মোটরসাইকেল রাইডে বেশি ভাড়া দিয়ে রওনা হতে হচ্ছে।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাংলামটর ও শাহবাগ সড়কে সরেজমিনে দেখা গেছে, যাত্রীদের দীর্ঘ সময় বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত বাস পাওয়া গেলেও সিট মিলছে কম। যার কারণে অনেক যাত্রী সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে সিএনজি বা মোটরসাইকেলের রাইড শেয়ারিং ব্যবহার করছেন।

বাংলামটর এলাকায় কথা হয় রবিন নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, দেখেন, পুরো রাস্তায় সব প্রাইভেটকার। বাস গুণলে দেখা যাবে যতদূর দেখা যায়, ১০ থেকে ১৫টি হবে। রাস্তায় যে পরিমাণ বাস আছে, সেগুলোর বেশিরভাগই শুরুর গন্তব্য থেকে লোকে ভরে আসছে। আমরা যারা মাঝ রাস্তা থেকে বাসে উঠব তাদের জন্য বাস পাওয়া যেমন কষ্টের, তেমনি কষ্টের সিট পাওয়াও।

সড়কে বাসের সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেলেও বাস চালক ও তাদের সহকারীদের ভাষ্য ভিন্ন। তাদের মতে, বাসের সংখ্যা কম, এটা ঠিক নয়। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজটের কারণে বাস ঠিকমতো চলাচল করতে পারে না। যার জন্য মনে হয় রাস্তায় বাস কম।

শিকড় পরিবহনের চালক ইদ্রিস জানান, সায়েদাবাদ থেকে শাহবাগ আসতে তার কয়েকবার যানজটে পড়তে হয়েছে। যানজট না থাকলে এ সময়ের মধ্যে শেষ গন্তব্যে গিয়ে আবার এদিকে চলে আসা যেত। বাস রাস্তায় আছে কিন্তু চলতে পারছে না ঠিকমতো।

ট্রাস্ট পরিবহনের একটি বাসের সহকারী বলেন, আমাদের সব গাড়ি রাস্তায় আছে। তবে শুনছি অনেক দিন লকডাউনের কারণে গাড়ি বন্ধ থাকায় কিছু গাড়ি নষ্ট হইছে।

কাওরান বাজারে দায়িত্বরত ট্রাফিক (সার্জেন্ট) সাজেদুল ইসলাম বলেন, সকালের দিকে কিছুটা যানজট ছিল। রাস্তায় বাস প্রতিদিন যেমন দেখা যায় আজও তেমনি আছে। কিন্তু প্রাইভেটকারের সংখ্যা বেশি। কোনো কারণে রাস্তায় যদি বাস কম থেকেও থাকে সেটা তো বাস মালিকরা বলতে পারবে। তবে এটা ঠিক যে অফিস শুরু এবং ছুটির সময়টাতে সবাই যখন একসঙ্গে হয় তখন যাত্রীদের বাস পাওয়া নিয়ে সংকট দেখা যায়। এটা নতুন কিছু না।

এনআই/এসএসএইচ