নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের তাগিদ
রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত ও দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর উপর জোর দিয়েছেন আলোচকরা। তারা বলছেন, বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মাঠ পর্যায়ে কাজের পাশাপাশি গবেষণাধর্মী কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে ‘ইয়ুথ ফর পিসফুল বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এ কথা বলেন বক্তারা। বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘রাইট টু পিস’। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন ‘রাইট টু পিস’ এর গবেষণা এবং প্রকাশনা শাখার প্রধান মাহাবুবা ইসলাম মীম।
বিজ্ঞাপন
ওয়েবিনারে যুক্ত ছিলেন ‘রাইট টু পিস’ এর অনারারি চিফ প্যাট্রন ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও অনারারি প্যাট্রন মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন। ওয়েবিনার বক্তা হিসেবে যুক্ত ছিলেন অ্যাকসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) সোশ্যাল ইনোভেশন অ্যান্ড অপারেশন ক্লাস্টারের প্রধান মানিক মাহমুদ, একশন এইড বাংলাদেশের প্রতিনিধি নাজমুল আহসান এবং আলোকিত শিশু ও ভলান্টিয়ার অপর্চুনিটিসের প্রতিষ্ঠাতা মিথুন দাস কাব্য।
‘রাইট টু পিস’ এর মুখ্য পৃষ্ঠপোষক ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মাঠ পর্যায়ে কাজের পাশাপাশি গবেষণাধর্মী কাজের সঙ্গে তরুণদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, তরুণদের একটি প্লাটফর্ম জরুরি যেখানে তারা তাদের চিন্তা-ভাবনাগুলো প্রকাশ করতে পারে এবং আলোচনার মাধ্যমে নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসতে পারে। রাইট টু পিস সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।
এটুআইয়ের মানিক মাহমুদ সমাজে তরুণ জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা এবং করোনাকালীন সময়ে তাদের বিভিন্ন কাজের বাস্তব চিত্র উপস্থাপন করেন।
একশন এইড বাংলাদেশের প্রতিনিধি নাজমুল আহসান, তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন,কর্মক্ষমতা নিশ্চিতকরণ এবং শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় একশন এইড পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রমের সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
আলোকিত শিশু ও ভলান্টিয়ার অপর্চুনিটিসের প্রতিষ্ঠাতা মিথুন দাস কাব্য করোনাকালীন সময়ে তরুণ সমাজের ভূমিকা এবং করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ জনগোষ্ঠীর গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন।
‘রাইট টু পিস’ এর পৃষ্ঠপোষক মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন সার্বিক আলোচনা নিয়ে আলোকপাত করেন এবং আলোচনায় প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
এসকেডি