তাজরীন ফ্যাশন কারখানার আহত ও পঙ্গু শ্রমিক এবং নিহত শ্রমিকের স্বজনদের দ্রুত উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন তাজরীন গার্মেন্টসের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে আহত কর্মীরা বলেন, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তাজরীনের ১১৩ জন শ্রমিক নিহত হন। বহু শ্রমিক আহত হয়েছেন। ওই সময় সরকার বিজিএমইএ, শ্রম মন্ত্রণালয়, ব্যাংক, বিমা, এনজিও-সহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান সাহায্যে-সহযোগিতার আশ্বাস দেয় আমাদের। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা পাইনি। তাই, আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের সঙ্গে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

তারা বলেন, আমরা বহুবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ধর্না দিয়েছি। কেউ আমাদের কোনো সহযোগিতা করেনি। মুখরোচক শিরোনামের জন্য মিডিয়ায় ঘোষণা দিলেও বাস্তবে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন। ইতোমধ্যে বহু শ্রমিক পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া বা পুনর্বাসন করা হয়নি। তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা খুবই প্রয়োজন।

শ্রমিকরা বলেন, তাজরীন ফ্যাশন কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত, পঙ্গু শ্রমিক এবং নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে গত বছর ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দীর্ঘ তিন মাস লাগাতার অবস্থান আন্দোলন করি। প্রায় তিন মাস সরকারি কোনো দফতর আমাদের খোঁজ না নিলেও করোনা সংক্রমণের অজুহাতে রাতের আঁধারে পুলিশ লাঠিচার্জ করে আমাদের তুলে দিয়েছিল। পরবর্তীতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দফতর থেকে আমাদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল এবং তার প্রেক্ষিতে কয়েক দফা কাগজপত্র জমা নেওয়া হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা মাসের পর মাস ঘুরেও কোনো সুরাহা পাচ্ছি না।

তারা দাবি জানিয়ে বলেন, আর সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত তাজরীন ফ্যাশন কারখানার আহত, পঙ্গু শ্রমিক ও নিহত শ্রমিকের স্বজনদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে তাজরীন ফ্যাশন কারখানার ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের মধ্যে জরিনা, মমিন, আনোয়ারা, রওশান আরা, রুনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/এইচকে