রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় র‌্যাবের অভিযানে ভিওআইপি সরঞ্জামসহ মো. শামসুজ্জামান (২৬) নামে চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাব-১০। আটক শামসুজ্জামান গত দেড় বছরে ভিওআইপি কলের মাধ্যমে সরকারকে ৪ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদ র‍্যাবকে জানায়।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে র‌্যাব-১০ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানান।

মাহফুজুর রহমান বলেন, বুধবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে র‌্যাব-১০ ও বিটিআরসির সমন্বয়ে যৌথ দল রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানাধীন ৭০/ডি-৩ ইন্দিরা রোড এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অবৈধ ভিওআইপি এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জ ব্যবসা চক্রের মো. শামসুজ্জামানকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ভিওআইপি ব্যবসায় ব্যবহৃত ৯টি মোবাইল ফোন, ১টি সিপিইউ, ৯টি মোবাইল চার্জার, ১টি কি-বোর্ড, ১৫০ পিস কলিং কার্ড, ১টি মাউস, ১টি এসি অ্যাডাপ্টর, ১টি মনিটর, ১টি বিভিন্ন ডকুমেন্ট ফাইল ও ১টি মনিটর স্ট্যান্ড জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, আটক ব্যক্তি অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার চক্রের সদস্য। সে দীর্ঘদিন ধরে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভিওআইপি এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জ এর ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে লাইসেন্স না নিয়ে তার চক্রের সদস্যদের সঙ্গে পারস্পরিক যোগসাজসে ও সহযোগিতায় সফটওয়্যার ভিত্তিক সুইচের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান করছিল। টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রাজস্ব/চার্জ ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে যান্ত্রিক, ভার্চুয়াল এবং সফটওয়্যার ভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জ সেবাও দিত সে।

সিও মাহফুজুর রহমান বলেন, এর মাধ্যমে শামসুজ্জামান ও তার চক্রটি গত দেড় বছরে সরকারের নির্ধারিত বর্তমান আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন রেট অনুযায়ী প্রায় ৪ কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে।

আটক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও তিনি জানান।

এমএসি/জেডএস